দুর্ঘটনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দুর্ঘটনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৈদ্যুতিক তারে মৃত্যুফাঁদ, বাঁকুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মহিলা মৃত

সাহাপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলল স্থানীয়রা

বাঁকুড়া, ওন্দা: বর্ষার প্রথম দফার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অংশ। তার মধ্যেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাস্তায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়া মহিলার। মৃতার নাম রেবা মাজি। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে ওন্দা ব্লকের সাহাপুর মাজিপাড়া এলাকায়।

Bankura: বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পাশের একটি পুকুর থেকে স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন রেবা দেবী। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়েনি ছিঁড়ে পড়ে থাকা হাইটেনশান বিদ্যুতের তার। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ওন্দা থানার পুলিশ। তাঁরা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাহাপুর-সহ আশপাশের এলাকায় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে পুরনো হাইটেনশন তার। বহুবার প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, “যদি আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে রেবা দেবীর এই মর্মান্তিক পরিণতি হত না।”

বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিক্রিয়া

ঘটনার পর বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। “এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।

গ্রামবাসীদের দাবি

স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাহাপুরই নয়, গোটা ওন্দা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ঝুলে থাকা তারের জেরে যেকোনো সময় ঘটতে পারে আরও বড় দুর্ঘটনা। তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরকে দ্রুত সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।


ধুলাগড়ে ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, রাস্তায় আতঙ্ক

 Breaking News: ধুলাগড়: হাওড়ার ধুলাগড়ে আজ সকালে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়ায় জাতীয় সড়কে। ট্রাকচালকদের মধ্যে প্রাথমিক বচসা মুহূর্তে রূপ নেয় ভয়ংকর সংঘর্ষে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি, এমনকি লাঠিচার্জের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ধুলাগড়ে ট্রাক চালকদের মধ্যে বচসা, মুহূর্তে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, কয়েকজন আহত হয়েছেন। ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কী নিয়ে শুরু হয়েছিল এই বচসা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

আপডেট:

  • আহতদের ধুলাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

  • এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী

  • তদন্তে উঠে আসছে ট্রাক পার্কিং ও ওভারটেকিং ঘিরে বিবাদ


বুকে জড়িয়ে শেষবার… সেনা পাইলটের মরদেহে স্ত্রী’র নিঃশব্দ কান্না

ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দীপিকা চৌহান—নিজেই এক শক্তিশালী সেনা অফিসার, কিন্তু কেদারনাথে দাঁড়িয়ে স্বামীকে শেষবারের মতো বিদায় জানানোর সময় তিনি যেন আর এক জনমের মতো ভেঙে পড়লেন।



বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে স্বামী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর সিং চৌহানের ছবি। চোখে অশ্রু, চেহারায় ব্যথা—ভেঙে পড়েছেন তিনি পুরোপুরি। স্বামীর শেষযাত্রার জন্য পা ফেলছেন ধীরে ধীরে। যেন শরীর চলতে চাইছে না, মন চাইছে ফিরিয়ে আনতে প্রিয়জনকে।

সেনা পোশাক, পিক ক্যাপ—সব কিছুই যেন তাঁর আবেগকে আটকাতে পারল না। কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে স্বামীর ছবিতে হাত বুলিয়ে দিলেন তিনি। অশ্রুসজল চোখে কপালের কাছে তুলে ধরলেন ছবি। হয়তো মনে মনে বলছিলেন—"আরেকবার ফিরে এসো…"

মাত্র কিছু মাস আগে শুরু হওয়া নতুন দাম্পত্যজীবন এমন মর্মান্তিকভাবে ভেঙে যাবে, কে জানত! এক সেনার জীবন যেমন সাহসিকতায় ভরপুর, তেমনই কষ্ট আর বিচ্ছেদেও ডুবে থাকে।

আপনি চাইলে এই লেখাটির সঙ্গে সংবাদ প্রতিবেদন বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ফর্ম্যাটেও সাজিয়ে দিতে পারি, যেমন একটি ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন, ইউটিউব স্ক্রিপ্ট বা ব্লগপোস্ট হিসেবে। জানিয়ে দিন কোন ফর্ম্যাটে চাইছেন।

লখনউ বিমানবন্দরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা! ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফিরতি বিমানের চাকা থেকে আগুন

 বিস্তারিত প্রতিবেদন:

লখনউ: আবারও বিমান যাত্রায় আতঙ্ক। সৌদি আরব থেকে ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফেরার সময় এক চুলের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল একটি যাত্রীবাহী বিমান। SV 3112 নামের বিমানটি রবিবার সকালে লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হঠাৎ করেই তার এক চাকা থেকে ফুলকি ও ধোঁয়া বের হতে শুরু করে।

২৫০ জন হজযাত্রীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা বিমানে, লখনউতে অবতরণের সময়ই চাকায় ধরল আগুন


ঘটনাটি ঘটে প্রায় সকাল ৬:৩০ মিনিটে। রানওয়েতে নামার সময় চোখে পড়ে বিমানের চাকায় অস্বাভাবিক ঘর্ষণ। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। সক্রিয় করা হয় জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমানটিকে দ্রুত ট্যাক্সিওয়েতে নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক?

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি। বিমানের ভেতরে আতঙ্কের কোনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। কিন্তু পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই অনেকেই চমকে যান। কেউ কেউ বলেন, "আমরা ভাবতেও পারিনি এরকম কিছু ঘটেছে। পরে শুনে ভয় পেয়েছি।"

পটভূমি: এর আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

মাত্র তিন দিন আগেই, ১২ জুন, এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট, উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭০ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে অনেক দেহ সনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ টেস্ট করেই মৃতদের শনাক্ত করতে হচ্ছে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লখনউর নতুন বিমান ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন।

আরও উদ্বেগ: ড্রিমলাইনারে বারবার ত্রুটি!

বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়ছে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা। লন্ডন থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ড্রিমলাইনার-এ মাঝ আকাশে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিমানটি আবার ফিরে আসে লন্ডনে। বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন, নিরাপত্তা নিয়ে দানা বাঁধছে উদ্বেগ।

সংক্ষেপে মূল বিষয়:

  • SV 3112 ফ্লাইটে ছিল প্রায় ২৫০ জন হজযাত্রী

  • ল্যান্ডিংয়ের সময় চাকায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়

  • তৎক্ষণাৎ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমানবন্দরের কর্মীরা

  • যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে আনা সম্ভব

  • অতীতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশে আতঙ্ক আরও গভীর


পুনেতে ভেঙে পড়ল সেতু, ইন্দ্রায়ণী নদীতে প্রাণহানির আশঙ্কা, আহত বহু

মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মাভাল তহসিলের কুন্দমালা এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক মানুষ হঠাৎই নদীতে পড়ে যান সেতু ভেঙে পড়ার কারণে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ জনে, আহত হয়েছেন ৩২ জন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারকাজে ব্যস্ত এনডিআরএফ।



কীভাবে ঘটল বিপর্যয়?

ঘটনাস্থল ছিল পুনের তালেগাঁওয়ের ইন্দোরি এলাকায়, যেখানে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি ৩০ বছর পুরনো লোহার সেতু রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে প্রচুর পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ সেতুর উপর ভিড় করেছিলেন। তখনই আচমকা সেতু ভেঙে পড়ে এবং অনেকে সরাসরি নদীর জলে পড়ে যান।

আহত ও মৃতদের কী খবর?

  • মৃত: ৪ জন

  • আহত: ৩২ জন

  • আশঙ্কাজনক: ৬ জন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি

  • নিখোঁজ: সঠিক সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়, তল্লাশি চলছে

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে দুটি এনডিআরএফ টিম, স্থানীয় পুলিশ, এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে যুক্ত।

মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে 'X' (সাবেক টুইটার)-এ শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন:

“পুনে জেলার তালেগাঁওয়ের কাছে ইন্দোরিতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। সমস্ত উদ্ধারকারী বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই দুর্ঘটনাকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” বলে বর্ণনা করে জানান,

“সেতুতে থাকা অনেকে ভেসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি সকলেই যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন।”

কেন ভেঙে পড়ল সেতু?

সেতুটি ছিল পুরনো ও দুর্বল, এবং এর নিচেই ছিল একটি পুরনো বাঁধ। বর্ষার মরসুমে নদীর জলের স্তর বেড়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশাল গায়কোয়াড় জানিয়েছেন,

“ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৩:৩০ থেকে ৪:৩০-এর মধ্যে। পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বহু মানুষ জলে পড়ে যান। উদ্ধারকাজ চলছে।”

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • স্থান: কুন্দমালা, তালেগাঁও, পুনে, মহারাষ্ট্র

  • নদী: ইন্দ্রায়ণী

  • সেতুর ধরন: ৩০ বছরের পুরনো লোহার সেতু

  • আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা: লেক ও জলপ্রপাতের পাশে

মা ধারী দেবীর রোষেই কেদারনাথ বিপর্যয়?” — গায়ে কাঁটা-দেওয়া অলৌকিক কাহিনি

ধারী দেবী ও কেদারনাথ: অলৌকিক যোগসূত্র?

২০১৩ সালের ১৬ জুন, রাতারাতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় উত্তরাখণ্ডের পবিত্র কেদারনাথ ধাম। পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। ভয়ানক বৃষ্টিপাত, হিমবাহ ফেটে তৈরি হওয়া ভূমিধ্বস, প্রবল জলস্রোত আর কাদা—সবকিছু মিশে গিয়েছিল সেই বিপর্যয়ে। মারা গিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে এক অলৌকিক কাহিনি আজও আলোচনার কেন্দ্রে—‘মা ধারী দেবীর রোষ।’




কে এই মা ধারী দেবী?

উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার আলকানন্দা নদীর ধারে বিরাজমান মা ধারী দেবীকে হিমালয়ের রক্ষাকালীরূপে মানা হয়। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মা ধারী দেবীর বিগ্রহ যেখানে স্থাপিত থাকে, সেখানকার মানুষ প্রাকৃতিক ও অপার্থিব বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকেন। কিন্তু সেই ১৬ জুনের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল মা ধারী দেবীর বিগ্রহ—এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের জন্য।

এটাই কি ছিল “অপশকুন”?

স্থানীয়রা বলেন,

“যেই মূর্তি সরানো হল, সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি রেগে গেল। সেই রাতেই ঘটল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর দুর্যোগ।”

অনেকেই মনে করেন, মা ধারী দেবীর রোষেই নেমে এসেছিল সেই ভয়ংকর ধ্বংসের স্রোত—যা শুধুমাত্র প্রকৃতি নয়, যেন এক অলৌকিক শক্তির রূপ নিয়েছিল। কেদারনাথ মন্দির ঠিকঠাক থাকলেও, আশেপাশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। কাকতালীয় হলেও, এই ঘটনাই বহু মানুষের মনে সৃষ্টি করে ধর্মীয় আশ্চর্য এবং ভক্তির নতুন এক অধ্যায়।

বিজ্ঞান বনাম বিশ্বাস

বিজ্ঞান বলে, চোরাবালি, গ্লেসিয়ার ফাটল, টানা বর্ষণ এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজের ফলেই এই দুর্যোগ হয়েছিল। কিন্তু বহু স্থানীয় বাসিন্দা ও তীর্থযাত্রী আজও বিশ্বাস করেন, এটা ছিল মা ধারী দেবীর অভিশাপ।

আজও প্রতিবছর ১৬ জুন এলেই কেঁপে ওঠে পাহাড়বাসীর মন।

এটা শুধুই প্রকৃতির খেলা? নাকি ঈশ্বরের প্রতিশোধ? কেদারনাথ বিপর্যয়ের পিছনে কি প্রকৃতি, মানুষ, না অলৌকিক শক্তির সম্মিলন—এই প্রশ্ন এখনও ঘুরে বেড়ায় হিমালয়ের পবিত্র বাতাসে।

আপনি কী বিশ্বাস করেন? মা ধারী দেবীর রোষই কি কেদারনাথ ধ্বংসের কারণ? নিচে কমেন্টে জানান মতামত।

কেদারনাথ রুটে ফের বিপদ! হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু আশঙ্কা ৭ জনের

Stasnet Breaking | কেদারনাথ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

আকাশপথে ফের দুর্ঘটনা! কেদারনাথ যাত্রার পথে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, ৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা



হিন্দু ধর্মের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ যাওয়ার পথে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ল পাহাড়ি এলাকায়। প্রাথমিক সূত্র অনুযায়ী, হেলিকপ্টারে থাকা ৭ জনই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনার সময় ও স্থান:

  • সময়: সকাল ১১:৪৫ নাগাদ

  • স্থান: গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথের মাঝপথ, পাহাড়ি জঙ্গলে

  • হেলিকপ্টার অপারেটর: Aryan Aviation Pvt. Ltd.

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা:

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। তারপরই বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এলাকায় ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মানুষ ও তীর্থযাত্রীরা প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।

উদ্ধার অভিযান:

  • NDRF ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে

  • পাহাড়ি পথের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে

  • এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ উদ্ধার, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন:

“এই ঘটনায় আমরা শোকাহত। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে DGCA-কে বলা হয়েছে।”

Stasnet অনুসন্ধান:

গত ৩ বছরে কেদারনাথ রুটে এটি চতুর্থ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে—এই দুর্গম পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মেনে চলা হচ্ছে তো?

Stasnet News-এর পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।


২৪ ঘণ্টার মাথায় ইরানের পাল্টা আঘাত, তেল আভিভ কাঁপল ভয়াবহ বিস্ফোরণে

তেহরানের পাল্টা প্রত্যাঘাত: লৌহঢাল ভেদ করে তেল আভিভে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইজ়রায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চরম প্রত্যাঘাত হেনেছে ইরান। শুক্রবার গভীর রাতে ইরানের একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিভের প্রাণকেন্দ্রে আছড়ে পড়ে। লক্ষ্য ছিল ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF)-এর সদর দফতর ‘দ্য কিরইয়া’।

কীভাবে ঘটল হামলা?

তেহরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বা ‘লৌহঢাল’-এর প্রতিরোধ ভেঙে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তেল আভিভের সেনা সদর দফতরে সরাসরি আঘাত হানছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। মুহূর্তে বিস্ফোরণ এবং আলোর ঝলকে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল।

কোন কোন এলাকায় হামলা?

  • দ্য কিরইয়া: সেনা সদর দফতর, প্রধান লক্ষ্য।

  • রমাত গান: বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি।

  • রিশন লেজ়িয়ন: বহুতলের একাংশ ধসে পড়ে।

 হতাহতের হিসাব:

  • ইজ়রায়েল: ৩ জন নিহত।

  • ইরান: পাল্টা ইজ়রায়েলি হামলায় ৭৮ জনের মৃত্যু, আহত ৩০০+।

প্রতিক্রিয়া:

IDF মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেন,

“আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। তবে কিছু ধ্বংসাবশেষই মারাত্মক ক্ষতি করেছে।”

IDF আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি টুইটে লেখেন,

“এই উত্তেজনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইরান। তাদের উদ্দেশ্য ইজ়রায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।”


সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক মৃত্যু: শেষকৃত্য দিল্লিতে, করিশ্মা থাকবেন কি?



লন্ডন / দিল্লি | ১৪ জুন ২০২৫ | The Stasnet প্রতিবেদক

নামী ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন পোলো খেলোয়াড় সঞ্জয় কাপুর, যিনি বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী, বৃহস্পতিবার লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর

সূত্র অনুযায়ী, একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন মৌমাছি গিলে ফেলায় শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার পরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

শেষকৃত্য হবে দিল্লিতে, মরদেহ আনতে দেরি

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য হবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু লন্ডনে ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মরদেহ ভারতে আনতে কিছুটা সময় লাগবে, জানিয়েছেন সঞ্জয়ের শ্বশুর অশোক সচদেব

পরিবারে সম্পর্ক: করিশ্মা ও সন্তানদের জীবন

২০০৩ সালে করিশ্মা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান — সামিরা (২০০৫) এবং কিয়ান (২০১১)। বিচ্ছেদ ঘটে ২০১৬ সালে। এর পর থেকে করিশ্মাই একা হাতে সন্তানদের বড় করছেন।

সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই করিশ্মার পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা। বোন করিনা কাপুর এবং দুলাভাই সইফ আলি খান রাতেই করিশ্মার বাড়িতে পৌঁছন। পরে আসেন বন্ধুরা — অমৃতা আরোরামালাইকা আরোরা

শেষকৃত্যে করিশ্মা ও সন্তানরা থাকবেন কি?

সঞ্জয়ের শেষ বিদায় জানাতে করিশ্মা কাপুর ও তাঁর সন্তানরা দিল্লিতে শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি অভিনেত্রীর পরিবার বা টিম।

একজন পিতা, প্রাক্তন সঙ্গী ও স্পোর্টসম্যানের হঠাৎ বিদায়

এই মৃত্যু শুধুমাত্র বলিউডে নয়, কাপুর পরিবার ও তাঁদের সন্তানদের জীবনেও এক গভীর শোকের ছায়া ফেলল


আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: ২৪১ জনের মৃত্যু, জীবিত ফিরলেন কেবল ১১এ সিটের যাত্রী

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: "আমি লাফ দিইনি, আমি বেরিয়ে এসেছি"— জানালেন ১১এ সিটের যাত্রী


আহমেদাবাদ | ১৩ জুন, ২০২৫ | দ্য স্টাসনেট সংবাদ ডেস্ক
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর, যেখানে ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, একমাত্র জীবিত ব্যক্তি সামনে এসে নিজের বেঁচে যাওয়ার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

দুর্ভাগ্যজনক এই ফ্লাইটটি—a ১২ বছর পুরনো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার— আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩৯ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়।

উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ‘MAYDAY’ সংকেত পাঠায় এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল বিল্ডিংয়ে ধাক্কা মারে ও আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও নিহত হন।

১১এ সিটের যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশ যা বললেন

বিষ্ণু কুমার রমেশ (৪৫), পুনের বাসিন্দা, যিনি বিমানের ১১এ সিটে জানালার পাশে বসে ছিলেন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর বাঁ হাতে আঘাত ও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।

তিনি বলেন,

 “আমি যে দিকে বসেছিলাম, সেই পাশটা বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খায়নি। দরজাটা ভেঙে যাওয়ার পর একটা ফাঁকা জায়গা দেখতে পাই। তখনই আমি সেই দিক দিয়ে বেরিয়ে যাই। আমি দৌঁড়ে পালিয়ে যাই। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমি বেঁচে আছি।”



বিমানটি হোস্টেল বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আছড়ে পড়ায় সম্ভবত সেই একমাত্র খোলা জায়গা দিয়ে তিনি বের হতে পেরেছিলেন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ ও এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও আপডেটের জন্য চোখ রাখুন The Stasnet-এ।


© all rights reserved
STASNET