প্রকৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রকৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

Hilsa in Diamond Harbour: সিজনের প্রথমেই রাশি-রাশি ইলিশ! ডায়মন্ড হারবারে উৎসবের আমেজ, উজ্জ্বল মুখ মৎস্যজীবী ও ইলিশপ্রেমী বাঙালির

নকিব উদ্দিন গাজী, ডায়মন্ড হারবার |

দু’মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ট্রলার। সেই যাত্রা যে সফল হবে, তা বোধহয় আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কারণ মরশুমের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবারে রাশি-রাশি ইলিশ উঠে এসেছে। এক লপ্তে ২০-২৫ কুইন্টাল! ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজার আড়তে শুরু হয়েছে ইলিশের উৎসব।

Hilsa in Diamond Harbour: সিজনের প্রথমেই রাশি-রাশি ইলিশ বাজারে! চওড়া হাসি মৎস্যজীবীদের মুখে, উল্লসিত ভোজনরসিক বাঙালি...

প্রথম ধাপেই বড় সাফল্য

একাধিক ট্রলার ইতিমধ্যেই ফিরেছে ৩০ থেকে ৫০ ক্রেট রুপোলি শস্য নিয়ে। মাছগুলির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রাম পর্যন্ত। এগুলি নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল থেকে ধরা পড়ে সরাসরি চলে আসছে ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি বাজারে। বাজারে ইলিশ আসতেই মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি, আর ইলিশপ্রেমী বাঙালির চোখে উজ্জ্বল আশার ঝলক।

খরচ বেশি, কিন্তু মাছ দেখে স্বস্তি

এবছর মাছ ধরার খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। বরফ, ডিজেল ও জালের দাম বেড়েছে। একটি ট্রলার সমুদ্রে পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে ইলিশের পরিমাণ দেখে মৎস্যজীবীরা বলছেন, এই খরচ উঠে আসবে বলেই তাঁরা আশা করছেন।

ডায়মন্ড হারবার মৎস্য আড়ত ইউনিয়নের সম্পাদক জগন্নাথ দাস বলেন,

“প্রথম দিনেই ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে। সাইজও ভালো। আজ থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হবে। প্রথমে দাম কিছুটা বেশি থাকলেও, জোগান বাড়লে দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। আশা করি, এবার বাঙালির পাতেও ইলিশ সস্তায় পৌঁছবে।”

প্রযুক্তির সাহায্যে বদল

গত কয়েক বছর ইলিশের ঘাটতির জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে এবছর তাঁদের আশাবাদী করে তুলেছে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। আধুনিক জিপিএস এবং ফিশ-ফাইন্ডার যন্ত্রের সাহায্যে গভীর সমুদ্রে মাছের অবস্থান নির্ধারণ সহজ হয়েছে। ফলে এবার তুলনামূলক বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

রসনায় সুখ, বাজারে উৎসব

ইলিশ মানেই বাঙালির আবেগ, উৎসব, পাতে রাজকীয় আসন। মরশুমের শুরুতেই এমন ইলিশ পাওয়া যাওয়া খুবই সুখবর ভোজনরসিকদের কাছে। ইতিমধ্যেই বাজারে দাম চড়া, কিন্তু সাইজ ও গুণমান দেখে উৎসাহে ভাটা পড়েনি।

দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং ভোজন সম্পর্কিত আরও টাটকা খবর, আপডেট ও ভিডিও পেতে ফলো করুন Facebook,


লখনউ বিমানবন্দরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা! ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফিরতি বিমানের চাকা থেকে আগুন

 বিস্তারিত প্রতিবেদন:

লখনউ: আবারও বিমান যাত্রায় আতঙ্ক। সৌদি আরব থেকে ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফেরার সময় এক চুলের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল একটি যাত্রীবাহী বিমান। SV 3112 নামের বিমানটি রবিবার সকালে লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হঠাৎ করেই তার এক চাকা থেকে ফুলকি ও ধোঁয়া বের হতে শুরু করে।

২৫০ জন হজযাত্রীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা বিমানে, লখনউতে অবতরণের সময়ই চাকায় ধরল আগুন


ঘটনাটি ঘটে প্রায় সকাল ৬:৩০ মিনিটে। রানওয়েতে নামার সময় চোখে পড়ে বিমানের চাকায় অস্বাভাবিক ঘর্ষণ। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। সক্রিয় করা হয় জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমানটিকে দ্রুত ট্যাক্সিওয়েতে নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক?

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি। বিমানের ভেতরে আতঙ্কের কোনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। কিন্তু পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই অনেকেই চমকে যান। কেউ কেউ বলেন, "আমরা ভাবতেও পারিনি এরকম কিছু ঘটেছে। পরে শুনে ভয় পেয়েছি।"

পটভূমি: এর আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

মাত্র তিন দিন আগেই, ১২ জুন, এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট, উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭০ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে অনেক দেহ সনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ টেস্ট করেই মৃতদের শনাক্ত করতে হচ্ছে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লখনউর নতুন বিমান ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন।

আরও উদ্বেগ: ড্রিমলাইনারে বারবার ত্রুটি!

বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়ছে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা। লন্ডন থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ড্রিমলাইনার-এ মাঝ আকাশে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিমানটি আবার ফিরে আসে লন্ডনে। বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন, নিরাপত্তা নিয়ে দানা বাঁধছে উদ্বেগ।

সংক্ষেপে মূল বিষয়:

  • SV 3112 ফ্লাইটে ছিল প্রায় ২৫০ জন হজযাত্রী

  • ল্যান্ডিংয়ের সময় চাকায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়

  • তৎক্ষণাৎ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমানবন্দরের কর্মীরা

  • যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে আনা সম্ভব

  • অতীতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশে আতঙ্ক আরও গভীর


ডিমেনশিয়া ও বাগান: নতুন চিকিৎসার পথ কেয়ার ফার্ম

 এই অসাধারণ তথ্যনির্ভর গল্পটি বোঝায় কীভাবে বাগান করা ও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্টতা রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে এই লেখার সারাংশ ও বিশ্লেষণ করা হলো যাতে পাঠক সহজে মূল পয়েন্টগুলো ধরতে পারেন:

বাগান করা এবং স্মৃতিভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে লড়াই



প্রেক্ষাপট: মারিয়ান রগস্টাডের গল্প

  • মারিয়ান রগস্টাড সুইজারল্যান্ডে হোটেল ক্লার্ক হিসেবে ৫০ বছর কাজ করার পর নরওয়েতে ফিরে এসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন।

  • তিনি একা পড়ে যান এবং মানসিক উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেন।

সমাধান: ইমপালস সেন্টার

  • অসলোর বাইরে “কেয়ার ফার্ম” নামে পরিচিত ইমপালস সেন্টারে যোগ দেওয়ার পর তার জীবনে পরিবর্তন আসে।

  • এখানে তিনি সবজি লাগান, পশুপাখির যত্ন নেন এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকেন।

গবেষণায় কী বলছে?

  1. ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে বাগানের ভূমিকা:

    • বাগান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩৬% পর্যন্ত কমে, যেমন দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণায়।

    • বাগান করা "ব্রেইন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF)" এবং "ভিইজিএফ" নামক প্রোটিন বাড়ায় – যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা ও নিউরন টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি।

  2. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন:

    • মনোযোগ বৃদ্ধি, চাপ হ্রাস, সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি – সবই বাগানের মাধ্যমে সম্ভব।

    • “Attention Restoration Theory” বলছে, প্রকৃতি আমাদের মনোযোগ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

  3. শারীরিক সুবিধা:

    • হৃদরোগ ও হাড়ের দুর্বলতা কমে, পেশির শক্তি বাড়ে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে।

'সবুজ প্রেসক্রিপশন' – চিকিৎসার নতুন ধারা

  • এখন চিকিৎসকরা ‘Green Prescription’ দিচ্ছেন, যা মানসিক চাপ কমাতে, সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রকৃতি-ভিত্তিক থেরাপি চালু হয়েছে।

কেয়ার ফার্মের সাফল্য

  • কেয়ার ফার্মগুলো শুধু চিকিৎসা নয়, বরং জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়।

  • রোগীরা নিজের কাজের ফল চোখে দেখেন – এটি আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়।

শেষ কথা

"ব্যবহার করো, না হয় হারিয়ে ফেলো" – এই কথাটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য। বাগান করা মানে শুধু একটা কাজ নয়, এটি একধরনের থেরাপি – যা বার্ধক্যে আমাদের মানসিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপনি যদি কাউকে ভালো রাখতে চান, তাকে কিছু গাছ লাগাতে দিন।

স্মৃতিভ্রষ্টতা হোক বা মানসিক ক্লান্তি – প্রকৃতি ও বাগান এই দুইই হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও প্রভাবশালী ওষুধ।

পুনেতে ভেঙে পড়ল সেতু, ইন্দ্রায়ণী নদীতে প্রাণহানির আশঙ্কা, আহত বহু

মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মাভাল তহসিলের কুন্দমালা এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক মানুষ হঠাৎই নদীতে পড়ে যান সেতু ভেঙে পড়ার কারণে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ জনে, আহত হয়েছেন ৩২ জন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারকাজে ব্যস্ত এনডিআরএফ।



কীভাবে ঘটল বিপর্যয়?

ঘটনাস্থল ছিল পুনের তালেগাঁওয়ের ইন্দোরি এলাকায়, যেখানে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি ৩০ বছর পুরনো লোহার সেতু রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে প্রচুর পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ সেতুর উপর ভিড় করেছিলেন। তখনই আচমকা সেতু ভেঙে পড়ে এবং অনেকে সরাসরি নদীর জলে পড়ে যান।

আহত ও মৃতদের কী খবর?

  • মৃত: ৪ জন

  • আহত: ৩২ জন

  • আশঙ্কাজনক: ৬ জন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি

  • নিখোঁজ: সঠিক সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়, তল্লাশি চলছে

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে দুটি এনডিআরএফ টিম, স্থানীয় পুলিশ, এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে যুক্ত।

মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে 'X' (সাবেক টুইটার)-এ শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন:

“পুনে জেলার তালেগাঁওয়ের কাছে ইন্দোরিতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। সমস্ত উদ্ধারকারী বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই দুর্ঘটনাকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” বলে বর্ণনা করে জানান,

“সেতুতে থাকা অনেকে ভেসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি সকলেই যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন।”

কেন ভেঙে পড়ল সেতু?

সেতুটি ছিল পুরনো ও দুর্বল, এবং এর নিচেই ছিল একটি পুরনো বাঁধ। বর্ষার মরসুমে নদীর জলের স্তর বেড়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশাল গায়কোয়াড় জানিয়েছেন,

“ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৩:৩০ থেকে ৪:৩০-এর মধ্যে। পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বহু মানুষ জলে পড়ে যান। উদ্ধারকাজ চলছে।”

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • স্থান: কুন্দমালা, তালেগাঁও, পুনে, মহারাষ্ট্র

  • নদী: ইন্দ্রায়ণী

  • সেতুর ধরন: ৩০ বছরের পুরনো লোহার সেতু

  • আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা: লেক ও জলপ্রপাতের পাশে

মা ধারী দেবীর রোষেই কেদারনাথ বিপর্যয়?” — গায়ে কাঁটা-দেওয়া অলৌকিক কাহিনি

ধারী দেবী ও কেদারনাথ: অলৌকিক যোগসূত্র?

২০১৩ সালের ১৬ জুন, রাতারাতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় উত্তরাখণ্ডের পবিত্র কেদারনাথ ধাম। পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। ভয়ানক বৃষ্টিপাত, হিমবাহ ফেটে তৈরি হওয়া ভূমিধ্বস, প্রবল জলস্রোত আর কাদা—সবকিছু মিশে গিয়েছিল সেই বিপর্যয়ে। মারা গিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে এক অলৌকিক কাহিনি আজও আলোচনার কেন্দ্রে—‘মা ধারী দেবীর রোষ।’




কে এই মা ধারী দেবী?

উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার আলকানন্দা নদীর ধারে বিরাজমান মা ধারী দেবীকে হিমালয়ের রক্ষাকালীরূপে মানা হয়। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মা ধারী দেবীর বিগ্রহ যেখানে স্থাপিত থাকে, সেখানকার মানুষ প্রাকৃতিক ও অপার্থিব বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকেন। কিন্তু সেই ১৬ জুনের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল মা ধারী দেবীর বিগ্রহ—এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের জন্য।

এটাই কি ছিল “অপশকুন”?

স্থানীয়রা বলেন,

“যেই মূর্তি সরানো হল, সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি রেগে গেল। সেই রাতেই ঘটল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর দুর্যোগ।”

অনেকেই মনে করেন, মা ধারী দেবীর রোষেই নেমে এসেছিল সেই ভয়ংকর ধ্বংসের স্রোত—যা শুধুমাত্র প্রকৃতি নয়, যেন এক অলৌকিক শক্তির রূপ নিয়েছিল। কেদারনাথ মন্দির ঠিকঠাক থাকলেও, আশেপাশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। কাকতালীয় হলেও, এই ঘটনাই বহু মানুষের মনে সৃষ্টি করে ধর্মীয় আশ্চর্য এবং ভক্তির নতুন এক অধ্যায়।

বিজ্ঞান বনাম বিশ্বাস

বিজ্ঞান বলে, চোরাবালি, গ্লেসিয়ার ফাটল, টানা বর্ষণ এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজের ফলেই এই দুর্যোগ হয়েছিল। কিন্তু বহু স্থানীয় বাসিন্দা ও তীর্থযাত্রী আজও বিশ্বাস করেন, এটা ছিল মা ধারী দেবীর অভিশাপ।

আজও প্রতিবছর ১৬ জুন এলেই কেঁপে ওঠে পাহাড়বাসীর মন।

এটা শুধুই প্রকৃতির খেলা? নাকি ঈশ্বরের প্রতিশোধ? কেদারনাথ বিপর্যয়ের পিছনে কি প্রকৃতি, মানুষ, না অলৌকিক শক্তির সম্মিলন—এই প্রশ্ন এখনও ঘুরে বেড়ায় হিমালয়ের পবিত্র বাতাসে।

আপনি কী বিশ্বাস করেন? মা ধারী দেবীর রোষই কি কেদারনাথ ধ্বংসের কারণ? নিচে কমেন্টে জানান মতামত।

কেদারনাথ রুটে ফের বিপদ! হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু আশঙ্কা ৭ জনের

Stasnet Breaking | কেদারনাথ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

আকাশপথে ফের দুর্ঘটনা! কেদারনাথ যাত্রার পথে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, ৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা



হিন্দু ধর্মের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ যাওয়ার পথে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ল পাহাড়ি এলাকায়। প্রাথমিক সূত্র অনুযায়ী, হেলিকপ্টারে থাকা ৭ জনই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনার সময় ও স্থান:

  • সময়: সকাল ১১:৪৫ নাগাদ

  • স্থান: গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথের মাঝপথ, পাহাড়ি জঙ্গলে

  • হেলিকপ্টার অপারেটর: Aryan Aviation Pvt. Ltd.

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা:

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। তারপরই বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এলাকায় ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মানুষ ও তীর্থযাত্রীরা প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।

উদ্ধার অভিযান:

  • NDRF ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে

  • পাহাড়ি পথের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে

  • এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ উদ্ধার, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন:

“এই ঘটনায় আমরা শোকাহত। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে DGCA-কে বলা হয়েছে।”

Stasnet অনুসন্ধান:

গত ৩ বছরে কেদারনাথ রুটে এটি চতুর্থ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে—এই দুর্গম পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মেনে চলা হচ্ছে তো?

Stasnet News-এর পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।


আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: ২৪১ জনের মৃত্যু, জীবিত ফিরলেন কেবল ১১এ সিটের যাত্রী

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: "আমি লাফ দিইনি, আমি বেরিয়ে এসেছি"— জানালেন ১১এ সিটের যাত্রী


আহমেদাবাদ | ১৩ জুন, ২০২৫ | দ্য স্টাসনেট সংবাদ ডেস্ক
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর, যেখানে ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, একমাত্র জীবিত ব্যক্তি সামনে এসে নিজের বেঁচে যাওয়ার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

দুর্ভাগ্যজনক এই ফ্লাইটটি—a ১২ বছর পুরনো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার— আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩৯ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়।

উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ‘MAYDAY’ সংকেত পাঠায় এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল বিল্ডিংয়ে ধাক্কা মারে ও আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও নিহত হন।

১১এ সিটের যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশ যা বললেন

বিষ্ণু কুমার রমেশ (৪৫), পুনের বাসিন্দা, যিনি বিমানের ১১এ সিটে জানালার পাশে বসে ছিলেন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর বাঁ হাতে আঘাত ও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।

তিনি বলেন,

 “আমি যে দিকে বসেছিলাম, সেই পাশটা বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খায়নি। দরজাটা ভেঙে যাওয়ার পর একটা ফাঁকা জায়গা দেখতে পাই। তখনই আমি সেই দিক দিয়ে বেরিয়ে যাই। আমি দৌঁড়ে পালিয়ে যাই। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমি বেঁচে আছি।”



বিমানটি হোস্টেল বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আছড়ে পড়ায় সম্ভবত সেই একমাত্র খোলা জায়গা দিয়ে তিনি বের হতে পেরেছিলেন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ ও এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও আপডেটের জন্য চোখ রাখুন The Stasnet-এ।


© all rights reserved
STASNET