স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মালদা হাসপাতাল কাণ্ড: ওটি রুমে প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজার, ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্যোজাত-মায়ের

মালদা:এক চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অভিযোগ, প্রসবের সময় ওটি রুমে এক প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। এর ফলেই ঘটে বিপর্যয় – সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি, মায়ের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক।



কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা এক গর্ভবতী নারীকে রবিবার রাতে মালদা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিজারিয়ানের জন্য ওটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তখন প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে প্রসবের অনিচ্ছা ও আতঙ্কের কারণে, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীরা জোর করে ওটি বেডে হাত-পা বেঁধে সিজার শুরু করেন।

পরিবারের অভিযোগ:

পরিবারের দাবি,

"আমাদের অনুমতি ছাড়াই এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হাত-পা বেঁধে সিজার করানোর ফলে আমার বোন চরম মানসিক ও শারীরিক ধাক্কা খেয়েছে। সদ্যোজাত শিশুটিকে আমরা হারিয়েছি। এখন মা-ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।"

হাসপাতালের বক্তব্য:

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ঘটনা জানাজানি হতেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হাসপাতাল সুপার ডঃ মিতালি চক্রবর্তী জানান—

"ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি সত্যি এমন কোনও চিকিৎসাগত গাফিলতি হয়ে থাকে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:

ঘটনায় উত্তাল হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলও। বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
BJP জেলা সভাপতি বলেন—

"এই সরকারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মালদার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের শাস্তি চাই।"

সাধারণ মানুষের ক্ষোভ:

ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন,

“এটা কি কোনও সরকারি হাসপাতাল, নাকি নরকের দরজা?”

বর্তমান পরিস্থিতি:

  • সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে

  • মা এখনও ইনটেনসিভ কেয়ারে

  • প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে

এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্বজ্ঞানহীন চিত্র সামনে এনে দিলো বলেই মত বিশিষ্টজনদের।

ডিমেনশিয়া ও বাগান: নতুন চিকিৎসার পথ কেয়ার ফার্ম

 এই অসাধারণ তথ্যনির্ভর গল্পটি বোঝায় কীভাবে বাগান করা ও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্টতা রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে এই লেখার সারাংশ ও বিশ্লেষণ করা হলো যাতে পাঠক সহজে মূল পয়েন্টগুলো ধরতে পারেন:

বাগান করা এবং স্মৃতিভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে লড়াই



প্রেক্ষাপট: মারিয়ান রগস্টাডের গল্প

  • মারিয়ান রগস্টাড সুইজারল্যান্ডে হোটেল ক্লার্ক হিসেবে ৫০ বছর কাজ করার পর নরওয়েতে ফিরে এসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন।

  • তিনি একা পড়ে যান এবং মানসিক উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেন।

সমাধান: ইমপালস সেন্টার

  • অসলোর বাইরে “কেয়ার ফার্ম” নামে পরিচিত ইমপালস সেন্টারে যোগ দেওয়ার পর তার জীবনে পরিবর্তন আসে।

  • এখানে তিনি সবজি লাগান, পশুপাখির যত্ন নেন এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকেন।

গবেষণায় কী বলছে?

  1. ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে বাগানের ভূমিকা:

    • বাগান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩৬% পর্যন্ত কমে, যেমন দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণায়।

    • বাগান করা "ব্রেইন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF)" এবং "ভিইজিএফ" নামক প্রোটিন বাড়ায় – যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা ও নিউরন টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি।

  2. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন:

    • মনোযোগ বৃদ্ধি, চাপ হ্রাস, সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি – সবই বাগানের মাধ্যমে সম্ভব।

    • “Attention Restoration Theory” বলছে, প্রকৃতি আমাদের মনোযোগ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

  3. শারীরিক সুবিধা:

    • হৃদরোগ ও হাড়ের দুর্বলতা কমে, পেশির শক্তি বাড়ে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে।

'সবুজ প্রেসক্রিপশন' – চিকিৎসার নতুন ধারা

  • এখন চিকিৎসকরা ‘Green Prescription’ দিচ্ছেন, যা মানসিক চাপ কমাতে, সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রকৃতি-ভিত্তিক থেরাপি চালু হয়েছে।

কেয়ার ফার্মের সাফল্য

  • কেয়ার ফার্মগুলো শুধু চিকিৎসা নয়, বরং জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়।

  • রোগীরা নিজের কাজের ফল চোখে দেখেন – এটি আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়।

শেষ কথা

"ব্যবহার করো, না হয় হারিয়ে ফেলো" – এই কথাটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য। বাগান করা মানে শুধু একটা কাজ নয়, এটি একধরনের থেরাপি – যা বার্ধক্যে আমাদের মানসিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপনি যদি কাউকে ভালো রাখতে চান, তাকে কিছু গাছ লাগাতে দিন।

স্মৃতিভ্রষ্টতা হোক বা মানসিক ক্লান্তি – প্রকৃতি ও বাগান এই দুইই হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও প্রভাবশালী ওষুধ।

© all rights reserved
STASNET