ব্রেকিং নিউজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ব্রেকিং নিউজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৈদ্যুতিক তারে মৃত্যুফাঁদ, বাঁকুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মহিলা মৃত

সাহাপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলল স্থানীয়রা

বাঁকুড়া, ওন্দা: বর্ষার প্রথম দফার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অংশ। তার মধ্যেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাস্তায় ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়া মহিলার। মৃতার নাম রেবা মাজি। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে ওন্দা ব্লকের সাহাপুর মাজিপাড়া এলাকায়।

Bankura: বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পাশের একটি পুকুর থেকে স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন রেবা দেবী। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়েনি ছিঁড়ে পড়ে থাকা হাইটেনশান বিদ্যুতের তার। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ওন্দা থানার পুলিশ। তাঁরা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাহাপুর-সহ আশপাশের এলাকায় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে পুরনো হাইটেনশন তার। বহুবার প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, “যদি আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে রেবা দেবীর এই মর্মান্তিক পরিণতি হত না।”

বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিক্রিয়া

ঘটনার পর বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। “এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।

গ্রামবাসীদের দাবি

স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাহাপুরই নয়, গোটা ওন্দা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ঝুলে থাকা তারের জেরে যেকোনো সময় ঘটতে পারে আরও বড় দুর্ঘটনা। তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরকে দ্রুত সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।


ধুলাগড়ে ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, রাস্তায় আতঙ্ক

 Breaking News: ধুলাগড়: হাওড়ার ধুলাগড়ে আজ সকালে হঠাৎ উত্তেজনা ছড়ায় জাতীয় সড়কে। ট্রাকচালকদের মধ্যে প্রাথমিক বচসা মুহূর্তে রূপ নেয় ভয়ংকর সংঘর্ষে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি, এমনকি লাঠিচার্জের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ধুলাগড়ে ট্রাক চালকদের মধ্যে বচসা, মুহূর্তে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, কয়েকজন আহত হয়েছেন। ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কী নিয়ে শুরু হয়েছিল এই বচসা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

আপডেট:

  • আহতদের ধুলাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

  • এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী

  • তদন্তে উঠে আসছে ট্রাক পার্কিং ও ওভারটেকিং ঘিরে বিবাদ


বুকে জড়িয়ে শেষবার… সেনা পাইলটের মরদেহে স্ত্রী’র নিঃশব্দ কান্না

ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দীপিকা চৌহান—নিজেই এক শক্তিশালী সেনা অফিসার, কিন্তু কেদারনাথে দাঁড়িয়ে স্বামীকে শেষবারের মতো বিদায় জানানোর সময় তিনি যেন আর এক জনমের মতো ভেঙে পড়লেন।



বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে স্বামী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর সিং চৌহানের ছবি। চোখে অশ্রু, চেহারায় ব্যথা—ভেঙে পড়েছেন তিনি পুরোপুরি। স্বামীর শেষযাত্রার জন্য পা ফেলছেন ধীরে ধীরে। যেন শরীর চলতে চাইছে না, মন চাইছে ফিরিয়ে আনতে প্রিয়জনকে।

সেনা পোশাক, পিক ক্যাপ—সব কিছুই যেন তাঁর আবেগকে আটকাতে পারল না। কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে স্বামীর ছবিতে হাত বুলিয়ে দিলেন তিনি। অশ্রুসজল চোখে কপালের কাছে তুলে ধরলেন ছবি। হয়তো মনে মনে বলছিলেন—"আরেকবার ফিরে এসো…"

মাত্র কিছু মাস আগে শুরু হওয়া নতুন দাম্পত্যজীবন এমন মর্মান্তিকভাবে ভেঙে যাবে, কে জানত! এক সেনার জীবন যেমন সাহসিকতায় ভরপুর, তেমনই কষ্ট আর বিচ্ছেদেও ডুবে থাকে।

আপনি চাইলে এই লেখাটির সঙ্গে সংবাদ প্রতিবেদন বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ফর্ম্যাটেও সাজিয়ে দিতে পারি, যেমন একটি ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন, ইউটিউব স্ক্রিপ্ট বা ব্লগপোস্ট হিসেবে। জানিয়ে দিন কোন ফর্ম্যাটে চাইছেন।

১০০ ও ২০০ টাকার নোটে বড় ঘোষণা, সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর: RBI

 নিশ্চিতভাবেই! RBI সম্প্রতি একটি বড় ঘোষণা করেছে যা 100 ও 200 টাকার নোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে:



  • মূল নির্দেশনা: এপ্রিল 2025‑এ RBI একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে— ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫–এর মধ্যে দেশের ৭৫ % ATM‑এ একটি ক্যাসেট থেকে 100 বা 200 টাকার নোট দিতে হবে

  • দ্বিতীয় পর্যায়: ৩১ মার্চ ২০২৬–এর মধ্যে এই সংখ্যার লক্ষ্য ৯০ %‑এ উন্নীত হবে  ।

বর্তমান অবস্থা

  • জুন ১৬–১৭, ২০২৫ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৭৩ % ATMs ইতোমধ্যে এই নিয়ম মেনে চলছে  । CMS Infosystems–এর নেটওয়ার্কে ৬৫ %-এ থেকে বেড়ে এসেছে ৭৩ %–এ।

উদ্দেশ্য

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো:

  • দৈনন্দিন ছোট লেনদেনে ব্যবহৃত চার্জহীন ছোট নোটের সহজ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে গ্রামীণ ও অর্ধ-শহুরে এলাকায়  ।

সারাংশ – কী করণীয়?

বিষয় বিশদ
মুল নির্দেশ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ৭৫ % ATM‑এ 100/200 টাকার নোট প্রদান বাধ্যতামূলক
বর্তমান অবস্থা ৭৩ % ATM ইতিমধ্যে নিয়ম মেনে চলছে (জুন ২০২৫ পর্যন্ত)
পরবর্তী লক্ষ্য মার্চ ২০২৬‑এর মধ্যে ৯০ % ATM‑এ এ ব্যবস্থা থাকা
লক্ষ্য জনগোষ্ঠী  নগদ নির্ভর দৈনন্দিন ব্যবহারকারীরা

আপনার কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

  • শিক্ষিত হোন – আপনার স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও ATM অপারেটরের ওয়েবসাইট/নোটিশ চেক করুন সিদ্ধান্তে আপডেটের জন্য।

  • ATM‑এর ধরন লক্ষ্য করুন – 100/200 টাকার নোট পেতে গেলে ATM–এর ক্যাসেট সংখ্যা চেক করুন। কিছু ATM এখনও শুধুমাত্র বড় নোট (500/2000) দিতে পারে।

  • ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন – যদি একটি নির্দিষ্ট ATM‑এ ছোট নোট না মেলে, তাহলে ব্যাঙ্ককে জানান যাতে তাদের ব্যবস্থা দ্রুত আপডেট করা যায়।

এই নির্দেশনার কারণে আপনার দৈনন্দিন লেনদেনে অনেক সুবিধা আসবে— বিশেষ করে সমস্যা হচ্ছে এমন ছোট নোটের প্রাপ্যতায়। আপনি কি আপনার এলাকায় কোনো ATM‑এ এটি ইতিমধ্যেই প্রযোজ্য হয়েছে দেখে এসেছে?

মধ্যপ্রাচ্যে রণভূমির আবহ, তেহরানের আকাশসীমা দখলের দাবি নেতানিয়াহুর

নয়াদিল্লি: চতুর্থ দিনে পড়ল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ধোঁয়া, মাটিতে মৃতদেহ। গতরাত থেকে ইজরায়েলি ফাইটার জেট বারবার ঢুকে পড়েছে তেহরানের আকাশে। ইরানের অভিযোগ, শুধু তৈল শোধনাগার বা পরমাণু কেন্দ্রই নয়, জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা।

পাল্টা জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে ইজরায়েলের হাইফা সংশোধনাগারে। ফোর্ডোর পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরণের জেরে রিখটার স্কেলে ২.৫ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২৪ জন।

এই পরিস্থিতিতেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, “তেহরানের আকাশসীমার কন্ট্রোল এখন আমাদের হাতে।” তবে এই উত্তেজনার মাঝে বাতিল হয়েছে ওমানে নির্ধারিত আমেরিকা-ইরান পরমাণু বৈঠক।



ট্রাম্প বনাম নেতানিয়াহু:
ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে হামলায় যুক্ত নয় আমেরিকা, অথচ নেতানিয়াহু বলছেন, “আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে।” এই দ্বিচারিতাকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে তেহরান।

ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “আমাদের কাছে প্রমাণ আছে — আমেরিকার হাত রয়েছে এই আক্রমণে।”

ভারতের আশঙ্কা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতের মাথাব্যথা বাড়বে। ইতিমধ্যেই বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম, চাপ পড়ছে আমদানির খরচে।

রাগেশ্বরীর ভিডিয়ো পোস্ট ভাইরাল, ডিভোর্স না নিয়ে নতুন করে শুরু দুই দম্পতির

গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ২৪২ জন আরোহী নিয়ে ভেঙে পড়ে। প্রাণহানির এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বলিউডের প্রথম সারির তারকারা যেমন শাহরুখ খান ও অমিতাভ বচ্চন শোক প্রকাশ করেছেন, তেমনই এই ঘটনায় ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রতিক্রিয়া দিলেন গায়িকা ও অভিনেত্রী রাগেশ্বরী লুম্বা



ভিডিয়ো বার্তায় নতুন বার্তা

সোমবার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন ভিডিয়ো শেয়ার করেন রাগেশ্বরী। তাতে তিনি বলেন,

“আপনি কি জানেন, এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর কত মানুষ তাঁদের পরিবারকে ফোন করতে শুরু করেছেন? আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন দুটি দম্পতিকে চিনি যারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। পরিবারগুলো হঠাৎ করে অহংকার ছেড়ে নরম হয়েছেন, যুক্তিগুলো সমাধান করতে চেষ্টা করেছেন। কী বদলে গেল?”

বিপর্যয়ের প্রয়োজন পড়ে ভাবতে?

রাগেশ্বরীর মতে, “মানব মন এমনই যে, আমাদের আশীর্বাদ বা ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝতে প্রায়শই একটা বড় ধাক্কার দরকার পড়ে। একটা বৈপরীত্য বা বিপর্যয় ছাড়া যেন আমরা জেগে উঠি না।” তিনি বলেন, “জীবন আসলে খুব ভঙ্গুর, আর সম্পর্কগুলো অমূল্য। একে অপরকে কীভাবে অনুভব করিয়েছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।”

পরামর্শ ও বার্তা

রাগেশ্বরী আরও বলেন,

“উচ্চতা উপলব্ধি করতে হলে আমাদের গভীরতা অনুভব করতে হবে। সাফল্যের মানে বুঝতে হলে ব্যর্থতার দরকার হয়। সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে অহং ছাড়তে হয়। তাই যাঁরা আমাদের জীবনে আছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, ভালোবাসা দেখান। কারণ, মানুষ কী বলেছে বা কী পরেছে— তা ভুলে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে আপনি তাদের অনুভব করিয়েছেন, তা চিরকাল মনে রাখবে।”

নস্টালজিক মন্তব্য ভক্তদের

রাগেশ্বরীর এই বার্তায় আবেগে ভেসেছে ভক্তমহল। একজন মন্তব্য করেছেন,
“এতদিন পরে আপনাকে দেখে কিশোর নস্টালজিয়া ফিরে এলো। কী চমৎকার ভাবনা!”
আরও এক জন লেখেন, “জীবনের মূল্য বোঝা উচিত এখনই। পরিবার আর সম্পর্কই সব।”

কে এই রাগেশ্বরী লুম্বা?

রাগেশ্বরী ১৯৯৩ সালে আঁখে ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি, জিদ, দিল কিতনা নাদান হ্যায় ছবিতে কাজ করেন। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে সাভি ছবিতে। গায়িকা হিসেবেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন — ওসাকা মুরাইয়া গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, সঙ্গে দুনিয়া, সাচ কা সাথে সহ একাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।

উপসংহার
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা শুধু প্রিয়জন কেড়ে নেয়নি, অনেককে নতুন করে ভাবতেও শিখিয়েছে। সম্পর্কের মানে, জীবনের মূল্য এবং ক্ষমার গুরুত্ব — সবই যেন এক ঝটকায় মনে করিয়ে দিল এই ভয়াবহ ঘটনা।

[আপনার পরিবারকে এখনই জড়িয়ে ধরুন — সময় থাকতে ভালোবাসা জানিয়ে দিন!]


ইজরায়েলে হামলার’ প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটল পাকিস্তান, ইরানের ক্ষোভ তুঙ্গে

ইসলামাবাদ: শুধু ভারতের বিরুদ্ধেই নয়, পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ এবার ধরা পড়ল মুসলিম বিশ্বের মধ্যেও। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে— এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান, এমনটাই দাবি করেছিল ইরান। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাক সরকার সেই প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করে ইউ-টার্ন নিল।



ঘটনার সূত্রপাত ইরানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য এবং রেভলিউশনারি গার্ডের শীর্ষ কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজাই-র এক বক্তব্য থেকে। তিনি প্রকাশ্যে জানান, “যদি ইজরায়েল ইরানের উপরে পরমাণু হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান আমাদের হয়ে পরমাণু হামলা চালাবে ইজরায়েলে। পাকিস্তান এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বহু বিশেষজ্ঞ মনে করতে শুরু করেন, ইরান-পাকিস্তান জোট হয়তো বড় কিছু পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে।

ইউ-টার্ন ইসলামাবাদের

কিন্তু, একই দিনেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সংসদে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “পাকিস্তান এমন কোনও পরমাণু সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়নি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও পক্ষের হয়ে পরমাণু যুদ্ধ চাই না।”

সমর্থন, কিন্তু সীমিত

যদিও পাকিস্তান ইরানকে একেবারে একঘরে করেনি। ১৪ জুন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে খোয়াজা আসিফ বলেন,

“ইজরায়েল একযোগে ইরান, ইয়েমেন এবং প্যালেস্টাইনে আক্রমণ চালাচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব যদি আজ ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে আমাদের সবার ভবিষ্যত অন্ধকার।”

তবে এই বক্তব্য ছিল কেবল ‘নৈতিক সমর্থন’-এর পর্যায়ে। পরমাণু অস্ত্রের প্রশ্নে কোনও আগ্রাসী অবস্থান নিতে ইসলামাবাদ নারাজ বলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

কী ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘটনা?

  1. পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভারসাম্য রক্ষা করছে— একদিকে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, অন্যদিকে আমেরিকা বা ইজরায়েলের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের ঝুঁকি নিচ্ছে না।

  2. ইরান বিচলিত— কারণ তারা মুসলিম দেশ পাকিস্তানের ওপর ভরসা করেছিল, এখন সেই সমর্থন ঝুলে গেল।

  3. পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দায়িত্বশীল নীতি মেনে চলছে পাকিস্তান, তবে এর পিছনে পশ্চিমি দেশগুলোর চাপও গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার:

এই ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য আবারও প্রকাশ পেল। পরমাণু ইস্যুতে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে— তাই পাকিস্তানের সতর্ক ভঙ্গি কূটনৈতিকভাবে হয়তো যৌক্তিক, কিন্তু ইরানের মতো মিত্র দেশের কাছে তা ‘গদ্দারি’ হিসেবেই ধরা পড়ছে।


Hilsa in Diamond Harbour: সিজনের প্রথমেই রাশি-রাশি ইলিশ! ডায়মন্ড হারবারে উৎসবের আমেজ, উজ্জ্বল মুখ মৎস্যজীবী ও ইলিশপ্রেমী বাঙালির

নকিব উদ্দিন গাজী, ডায়মন্ড হারবার |

দু’মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ট্রলার। সেই যাত্রা যে সফল হবে, তা বোধহয় আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কারণ মরশুমের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবারে রাশি-রাশি ইলিশ উঠে এসেছে। এক লপ্তে ২০-২৫ কুইন্টাল! ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজার আড়তে শুরু হয়েছে ইলিশের উৎসব।

Hilsa in Diamond Harbour: সিজনের প্রথমেই রাশি-রাশি ইলিশ বাজারে! চওড়া হাসি মৎস্যজীবীদের মুখে, উল্লসিত ভোজনরসিক বাঙালি...

প্রথম ধাপেই বড় সাফল্য

একাধিক ট্রলার ইতিমধ্যেই ফিরেছে ৩০ থেকে ৫০ ক্রেট রুপোলি শস্য নিয়ে। মাছগুলির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রাম পর্যন্ত। এগুলি নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল থেকে ধরা পড়ে সরাসরি চলে আসছে ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি বাজারে। বাজারে ইলিশ আসতেই মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি, আর ইলিশপ্রেমী বাঙালির চোখে উজ্জ্বল আশার ঝলক।

খরচ বেশি, কিন্তু মাছ দেখে স্বস্তি

এবছর মাছ ধরার খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। বরফ, ডিজেল ও জালের দাম বেড়েছে। একটি ট্রলার সমুদ্রে পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে ইলিশের পরিমাণ দেখে মৎস্যজীবীরা বলছেন, এই খরচ উঠে আসবে বলেই তাঁরা আশা করছেন।

ডায়মন্ড হারবার মৎস্য আড়ত ইউনিয়নের সম্পাদক জগন্নাথ দাস বলেন,

“প্রথম দিনেই ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে। সাইজও ভালো। আজ থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হবে। প্রথমে দাম কিছুটা বেশি থাকলেও, জোগান বাড়লে দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। আশা করি, এবার বাঙালির পাতেও ইলিশ সস্তায় পৌঁছবে।”

প্রযুক্তির সাহায্যে বদল

গত কয়েক বছর ইলিশের ঘাটতির জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে এবছর তাঁদের আশাবাদী করে তুলেছে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। আধুনিক জিপিএস এবং ফিশ-ফাইন্ডার যন্ত্রের সাহায্যে গভীর সমুদ্রে মাছের অবস্থান নির্ধারণ সহজ হয়েছে। ফলে এবার তুলনামূলক বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

রসনায় সুখ, বাজারে উৎসব

ইলিশ মানেই বাঙালির আবেগ, উৎসব, পাতে রাজকীয় আসন। মরশুমের শুরুতেই এমন ইলিশ পাওয়া যাওয়া খুবই সুখবর ভোজনরসিকদের কাছে। ইতিমধ্যেই বাজারে দাম চড়া, কিন্তু সাইজ ও গুণমান দেখে উৎসাহে ভাটা পড়েনি।

দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং ভোজন সম্পর্কিত আরও টাটকা খবর, আপডেট ও ভিডিও পেতে ফলো করুন Facebook,


স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে ২ বছরের জন্য ২ লক্ষ টাকা জমা? মিলতে পারে দুর্দান্ত রিটার্ন!

স্কিমের নাম: মহিলা সম্মান সঞ্চয় পত্র (Mahila Samman Savings Certificate - MSSC)

ভারত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিশেষভাবে মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার জন্য এই স্কিম চালু করেছে।



স্কিমের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • সুদের হার: বার্ষিক ৭.৫% (চক্রবৃদ্ধি হারে)

  • মেয়াদ: ২ বছর

  • সর্বোচ্চ বিনিয়োগ: ₹২ লক্ষ (একবারে বা ধাপে)

  • সর্বনিম্ন বিনিয়োগ: ₹১,০০০

  • কেবল মহিলাদের জন্য (বা অভিভাবক কন্যার নামে করতে পারেন)

    মেয়াদ  বার্ষিক সুদের হার (২০২৫ অনুযায়ী)
১ বছর ৬.৯%
২ বছর ৭.০%
৩ বছর ৭.১%
৫ বছর ৭.৫% (এই ক্ষেত্রে ৮০C কর ছাড় পাওয়া যায়)

রিটার্ন হিসাব (₹২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে):

  • বিনিয়োগ: ₹2,00,000

  • সুদের হার: ৭.৫% বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে

  • মেয়াদ: ২ বছর

  • ২ বছরের শেষে মোট রিটার্ন: প্রায় ₹2,31,125

  • মুনাফা: ₹31,125 (কোনও বাজার ঝুঁকি ছাড়াই)

কোথায় খুলবেন?

  • নিকটবর্তী পোস্ট অফিস বা সরকার অনুমোদিত ব্যাঙ্কে

  • PAN ও Aadhaar বাধ্যতামূলক

  • KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে

অতিরিক্ত তথ্য:

  • আংশিক টাকা (৪০% পর্যন্ত) এক বছর পর তুলতে পারবেন।

  • আয়কর আইনের ধারা 80C-তে এর কর ছাড় সুবিধা নেই, তবে আয় স্থিতিশীল ও নিরাপদ।

এই স্কিম বিশেষ করে গৃহবধূ, ছাত্রীর মায়েরা, কর্মজীবী মহিলা বা অবসরপ্রাপ্ত নারীদের জন্য এক সেরা সঞ্চয় পদ্ধতি হতে পারে। আপনি যদি স্ত্রীর জন্য ভবিষ্যতের নিরাপত্তা খুঁজছেন, এটি অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প।

লখনউ বিমানবন্দরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা! ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফিরতি বিমানের চাকা থেকে আগুন

 বিস্তারিত প্রতিবেদন:

লখনউ: আবারও বিমান যাত্রায় আতঙ্ক। সৌদি আরব থেকে ২৫০ জন হজযাত্রী নিয়ে ফেরার সময় এক চুলের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল একটি যাত্রীবাহী বিমান। SV 3112 নামের বিমানটি রবিবার সকালে লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হঠাৎ করেই তার এক চাকা থেকে ফুলকি ও ধোঁয়া বের হতে শুরু করে।

২৫০ জন হজযাত্রীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা বিমানে, লখনউতে অবতরণের সময়ই চাকায় ধরল আগুন


ঘটনাটি ঘটে প্রায় সকাল ৬:৩০ মিনিটে। রানওয়েতে নামার সময় চোখে পড়ে বিমানের চাকায় অস্বাভাবিক ঘর্ষণ। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। সক্রিয় করা হয় জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমানটিকে দ্রুত ট্যাক্সিওয়েতে নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক?

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি। বিমানের ভেতরে আতঙ্কের কোনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। কিন্তু পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই অনেকেই চমকে যান। কেউ কেউ বলেন, "আমরা ভাবতেও পারিনি এরকম কিছু ঘটেছে। পরে শুনে ভয় পেয়েছি।"

পটভূমি: এর আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

মাত্র তিন দিন আগেই, ১২ জুন, এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট, উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭০ জনেরও বেশি। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে অনেক দেহ সনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ টেস্ট করেই মৃতদের শনাক্ত করতে হচ্ছে।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লখনউর নতুন বিমান ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন।

আরও উদ্বেগ: ড্রিমলাইনারে বারবার ত্রুটি!

বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়ছে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা। লন্ডন থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ড্রিমলাইনার-এ মাঝ আকাশে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিমানটি আবার ফিরে আসে লন্ডনে। বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন, নিরাপত্তা নিয়ে দানা বাঁধছে উদ্বেগ।

সংক্ষেপে মূল বিষয়:

  • SV 3112 ফ্লাইটে ছিল প্রায় ২৫০ জন হজযাত্রী

  • ল্যান্ডিংয়ের সময় চাকায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়

  • তৎক্ষণাৎ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমানবন্দরের কর্মীরা

  • যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় সরিয়ে আনা সম্ভব

  • অতীতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশে আতঙ্ক আরও গভীর


পর্দাপ্রথা সম্পূর্ণ স্ত্রীর নিজস্ব সিদ্ধান্ত, বললেন খান স্যার! রিসেপশন ঘিরে বিতর্কে মুখ খুললেন জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ

পুরো প্রতিবেদন:

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার ও শিক্ষাবিদ খান স্যার সম্প্রতি নিজের বিবাহ এবং স্ত্রীর ঘোমটা পরা চেহারাকে ঘিরে আলোচনায়। বিহারের এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ের পর পাটনায় পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের জন্য একটি জমকালো রিসেপশনের আয়োজন করেন তিনি।

পর্দাপ্রথা অনুসরণ সম্পূর্ণ স্ত্রীর সিদ্ধান্ত! বিতর্ক বাড়তেই স্পষ্ট জবাব খান স্যারের


সেই অনুষ্ঠানেই প্রথমবার জনসমক্ষে আসেন খান স্যারের স্ত্রী, এ এস খান। তাঁর মুখের বেশিরভাগ অংশ ছিল লাল ওড়নায় ঢাকা। এই দৃশ্য ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয় বিতর্ক— অনেকেই স্ত্রীর 'ঘোমটা পরা'র পেছনে 'পুরুষতান্ত্রিকতা'র গন্ধ খুঁজতে শুরু করেন।

এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন খান স্যার। এএনআই পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,

"পর্দা করা সম্পূর্ণ আমার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত। আমি কখনোই ওকে চাপ দিইনি। ও ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত এমনভাবে কনে সাজবে। আর তাই মুখ ঢেকে রাখার জেদ করেছিল। আমি জানতাম, এর জন্য পরে আমাকেই দোষ দেওয়া হবে। কিন্তু সে বলল, ‘এটা আমার শৈশবের স্বপ্ন’। তাই আমি কিছু বলিনি।"

তিনি আরও বলেন,

“আমরা গ্রাম থেকে উঠে এসেছি, এখনো গ্রাম ছাড়িনি। তাই শহরের মতো ভাবলে হবে না। ওভাবে সাজা, মুখ ঢেকে রাখা আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ।”

এই বক্তব্যে খান স্যার বুঝিয়ে দেন, ঘোমটা পরার সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত ও সংস্কারভিত্তিক, এতে আধুনিকতা কিংবা পশ্চাদপদতার কোনও প্রশ্ন নেই।

ঘোমটার আড়ালে মায়াবী হাসি:

কনের নাম এ এস খান। তিনি বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা এবং একজন উচ্চশিক্ষিত নারী। তাঁর পরনে ছিল লাল লেহেঙ্গা ও সবুজ-লাল দুই রঙের ওড়না। যদিও মুখ আংশিক ঢাকা ছিল, তবুও তাঁর হাসি এবং আভিজাত্য সকলের নজর কাড়ে।

রিসেপশনে বিশিষ্টদের উপস্থিতি:

পাটনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব, শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার এবং পর্যটনমন্ত্রী নীতিশ মিশ্র-সহ একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব।

মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে:

  • স্ত্রীর ঘোমটা পরা সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা।

  • খান স্যারের সাফ জবাব: এটি তাঁর স্ত্রীর শৈশবের স্বপ্ন।

  • রিসেপশনে স্ত্রীর মুখ ঢাকা থাকলেও তাঁর সৌন্দর্য ও হাসি নেটিজেনদের মন জয় করে।

  • বিতর্কের মাঝেই প্রগতিশীলতা বনাম সংস্কার চর্চায় মুখ খুললেন খান স্যার।

মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মার, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ! খাতড়ায় তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল, উত্তাল রাজনীতি

Bankura: মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মার! প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, তুলকালাম পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়...

বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ — রাজনৈতিক উত্তাপে জ্বলছে বাঁকুড়া। শুক্রবার রাতে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির উপর খাতড়ার ভরা বাজারে হামলার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

পুলিশ ইতিমধ্যেই ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি শনিবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা কার্যালয়ে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুরও করা হয়। এরপর রবিবার বিজেপি বাঁকুড়া সদর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার।

এই আবহে সোমবার পাল্টা পথে নামল তৃণমূল। খাতড়া বাজারে তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিলে অংশ নেন স্বয়ং মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। তাঁর দাবি, "খাতড়াকে এতদিন শান্ত রেখেছিলাম। কিন্তু বিজেপির গুন্ডাবাহিনী এখানে অশান্তি সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষ যাতে BJP-র মুখোশ চিনতে পারে, সেই কারণেই এই সভা।"

তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিজেপির পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক হিংসার অংশ। অপরদিকে, বিজেপির দাবি—পুলিশ ও শাসকদল মিলে গণতন্ত্রকে লাঞ্ছিত করছে।

মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে:

  • আক্রান্ত: তুহিন মান্ডি, খাদ্য সরবরাহ রাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বামী

  • স্থান: খাতড়া, বাঁকুড়া

  • অভিযুক্ত: বিজেপি

  • পালটা দাবি: পুলিশ বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়

  • রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: বিজেপির বিক্ষোভের পরে তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও সভা

  • মুখোমুখি অবস্থান: শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার বনাম জ্যোৎস্না মান্ডি


**ফাদার্স ডে-তে মাতৃত্বের ছোঁয়া:** “সিদ্ধার্থ হবে দুর্দান্ত বাবা” — কিয়ারার আবেগঘন বার্তা ভাইরাল

ফাদার্স ডে-তে কিয়ারার আবেগঘন বার্তা: আজ ফাদার্স ডে-তে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম ও কৃতজ্ঞতার ছোঁয়া— অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানী দিলেন বিশেষ বার্তা স্বামী সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে। এখনও মা না হলেও, ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে বললেন—

সিদ্ধার্থ শুধু একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী নয়, একজন অসাধারণ বাবা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করবে। আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তান সত্যিই ধন্য হবে ওকে পেয়ে।


 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসা উজাড়

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কিয়ারা পোস্ট করেন একটি পুরনো ছবির কোলাজ, যেখানে সিদ্ধার্থ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। সেই ছবির ক্যাপশনেই লেখা ছিল এই হৃদয়স্পর্শী কথা।

বলিউডের পাওয়ার কাপল

২০২৩ সালে বিয়ের পর থেকেই সিদ্ধার্থ-কিয়ারার জুটি বলিউডের অন্যতম চর্চিত ও জনপ্রিয় দম্পতি। তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না, তবে বিশেষ দিনগুলোয় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা জানাতে ছাড়েন না তাঁরা।

বলিউড জুড়ে শুভেচ্ছা

এই পোস্টের পর বলিউডের সহকর্মীরাও মন্তব্য করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দম্পতিকে। অনেকে ভবিষ্যতের প্যারেন্টহুডের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন।

মালদা হাসপাতাল কাণ্ড: ওটি রুমে প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজার, ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্যোজাত-মায়ের

মালদা:এক চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অভিযোগ, প্রসবের সময় ওটি রুমে এক প্রসূতির হাত-পা বেঁধে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। এর ফলেই ঘটে বিপর্যয় – সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি, মায়ের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক।



কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা এক গর্ভবতী নারীকে রবিবার রাতে মালদা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিজারিয়ানের জন্য ওটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তখন প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে প্রসবের অনিচ্ছা ও আতঙ্কের কারণে, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীরা জোর করে ওটি বেডে হাত-পা বেঁধে সিজার শুরু করেন।

পরিবারের অভিযোগ:

পরিবারের দাবি,

"আমাদের অনুমতি ছাড়াই এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হাত-পা বেঁধে সিজার করানোর ফলে আমার বোন চরম মানসিক ও শারীরিক ধাক্কা খেয়েছে। সদ্যোজাত শিশুটিকে আমরা হারিয়েছি। এখন মা-ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।"

হাসপাতালের বক্তব্য:

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ঘটনা জানাজানি হতেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হাসপাতাল সুপার ডঃ মিতালি চক্রবর্তী জানান—

"ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি সত্যি এমন কোনও চিকিৎসাগত গাফিলতি হয়ে থাকে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:

ঘটনায় উত্তাল হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলও। বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
BJP জেলা সভাপতি বলেন—

"এই সরকারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মালদার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের শাস্তি চাই।"

সাধারণ মানুষের ক্ষোভ:

ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন,

“এটা কি কোনও সরকারি হাসপাতাল, নাকি নরকের দরজা?”

বর্তমান পরিস্থিতি:

  • সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে

  • মা এখনও ইনটেনসিভ কেয়ারে

  • প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে

এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্বজ্ঞানহীন চিত্র সামনে এনে দিলো বলেই মত বিশিষ্টজনদের।

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...’ — বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ স্বামী, উৎকণ্ঠায় দেবলীনা | দেবলীনার প্রার্থনা:

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...’

বিমান দুর্ঘটনায় উৎকণ্ঠায় ক্যাপ্টেন-পত্নী ও অভিনেত্রী দেবলীনা

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...', বিমান দুর্ঘটনায় উৎকণ্ঠায় ক্যাপ্টেন পত্নী ও শিল্পী দেবলীনা


আজ সকালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে টলিউড অভিনেত্রী দেবলীনা-র পরিবারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই বিমানের পাইলটদের মধ্যে ছিলেন তার স্বামীও। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নাম প্রকাশ করা হয়নি, দেবলীনার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তার উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট।

দেবলীনা লিখেছেন—

“যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ আমি পুরো। ফিরে এসো...”
সাথে দিয়েছেন স্বামীর সঙ্গে কাটানো এক পুরনো মুহূর্তের ছবি।

দুর্ঘটনার কারণ:
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাঝআকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়ে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এখনও পর্যন্ত নিহত বা আহতদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
উদ্ধারকাজ চলছে।

দেবলীনা একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবর আড়ালেই রেখেছেন। তবে এই ঘটনার পর থেকে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে সাহস জুগিয়ে বলছেন—

“ও ফিরে আসবেই, ওর জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি।”

Stasnet-এর পক্ষ থেকে আমরা দেবলীনার পরিবার ও দুর্ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি।


ডিমেনশিয়া ও বাগান: নতুন চিকিৎসার পথ কেয়ার ফার্ম

 এই অসাধারণ তথ্যনির্ভর গল্পটি বোঝায় কীভাবে বাগান করা ও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্টতা রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে এই লেখার সারাংশ ও বিশ্লেষণ করা হলো যাতে পাঠক সহজে মূল পয়েন্টগুলো ধরতে পারেন:

বাগান করা এবং স্মৃতিভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে লড়াই



প্রেক্ষাপট: মারিয়ান রগস্টাডের গল্প

  • মারিয়ান রগস্টাড সুইজারল্যান্ডে হোটেল ক্লার্ক হিসেবে ৫০ বছর কাজ করার পর নরওয়েতে ফিরে এসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন।

  • তিনি একা পড়ে যান এবং মানসিক উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেন।

সমাধান: ইমপালস সেন্টার

  • অসলোর বাইরে “কেয়ার ফার্ম” নামে পরিচিত ইমপালস সেন্টারে যোগ দেওয়ার পর তার জীবনে পরিবর্তন আসে।

  • এখানে তিনি সবজি লাগান, পশুপাখির যত্ন নেন এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকেন।

গবেষণায় কী বলছে?

  1. ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে বাগানের ভূমিকা:

    • বাগান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩৬% পর্যন্ত কমে, যেমন দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণায়।

    • বাগান করা "ব্রেইন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF)" এবং "ভিইজিএফ" নামক প্রোটিন বাড়ায় – যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা ও নিউরন টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি।

  2. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন:

    • মনোযোগ বৃদ্ধি, চাপ হ্রাস, সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি – সবই বাগানের মাধ্যমে সম্ভব।

    • “Attention Restoration Theory” বলছে, প্রকৃতি আমাদের মনোযোগ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

  3. শারীরিক সুবিধা:

    • হৃদরোগ ও হাড়ের দুর্বলতা কমে, পেশির শক্তি বাড়ে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে।

'সবুজ প্রেসক্রিপশন' – চিকিৎসার নতুন ধারা

  • এখন চিকিৎসকরা ‘Green Prescription’ দিচ্ছেন, যা মানসিক চাপ কমাতে, সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রকৃতি-ভিত্তিক থেরাপি চালু হয়েছে।

কেয়ার ফার্মের সাফল্য

  • কেয়ার ফার্মগুলো শুধু চিকিৎসা নয়, বরং জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়।

  • রোগীরা নিজের কাজের ফল চোখে দেখেন – এটি আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়।

শেষ কথা

"ব্যবহার করো, না হয় হারিয়ে ফেলো" – এই কথাটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য। বাগান করা মানে শুধু একটা কাজ নয়, এটি একধরনের থেরাপি – যা বার্ধক্যে আমাদের মানসিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপনি যদি কাউকে ভালো রাখতে চান, তাকে কিছু গাছ লাগাতে দিন।

স্মৃতিভ্রষ্টতা হোক বা মানসিক ক্লান্তি – প্রকৃতি ও বাগান এই দুইই হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও প্রভাবশালী ওষুধ।

পুনেতে ভেঙে পড়ল সেতু, ইন্দ্রায়ণী নদীতে প্রাণহানির আশঙ্কা, আহত বহু

মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মাভাল তহসিলের কুন্দমালা এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক মানুষ হঠাৎই নদীতে পড়ে যান সেতু ভেঙে পড়ার কারণে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ জনে, আহত হয়েছেন ৩২ জন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারকাজে ব্যস্ত এনডিআরএফ।



কীভাবে ঘটল বিপর্যয়?

ঘটনাস্থল ছিল পুনের তালেগাঁওয়ের ইন্দোরি এলাকায়, যেখানে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি ৩০ বছর পুরনো লোহার সেতু রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে প্রচুর পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ সেতুর উপর ভিড় করেছিলেন। তখনই আচমকা সেতু ভেঙে পড়ে এবং অনেকে সরাসরি নদীর জলে পড়ে যান।

আহত ও মৃতদের কী খবর?

  • মৃত: ৪ জন

  • আহত: ৩২ জন

  • আশঙ্কাজনক: ৬ জন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি

  • নিখোঁজ: সঠিক সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়, তল্লাশি চলছে

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে দুটি এনডিআরএফ টিম, স্থানীয় পুলিশ, এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে যুক্ত।

মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে 'X' (সাবেক টুইটার)-এ শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন:

“পুনে জেলার তালেগাঁওয়ের কাছে ইন্দোরিতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। সমস্ত উদ্ধারকারী বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই দুর্ঘটনাকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” বলে বর্ণনা করে জানান,

“সেতুতে থাকা অনেকে ভেসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি সকলেই যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন।”

কেন ভেঙে পড়ল সেতু?

সেতুটি ছিল পুরনো ও দুর্বল, এবং এর নিচেই ছিল একটি পুরনো বাঁধ। বর্ষার মরসুমে নদীর জলের স্তর বেড়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশাল গায়কোয়াড় জানিয়েছেন,

“ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৩:৩০ থেকে ৪:৩০-এর মধ্যে। পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বহু মানুষ জলে পড়ে যান। উদ্ধারকাজ চলছে।”

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • স্থান: কুন্দমালা, তালেগাঁও, পুনে, মহারাষ্ট্র

  • নদী: ইন্দ্রায়ণী

  • সেতুর ধরন: ৩০ বছরের পুরনো লোহার সেতু

  • আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা: লেক ও জলপ্রপাতের পাশে

SIP Investment: মাসে ১০ হাজার জমিয়ে আজ ৯.৮ কোটি! ইতিহাস গড়ল ICICI-এর মাল্টিক্যাপ ফান্ড

 বিস্তারিত খবর: মাসে মাত্র ₹10,000 SIP করেই 25 বছরে তৈরি হলো প্রায় ₹10 কোটির সম্পদ — Nippon India Growth Fund-এর ‘ম্যাজিক’

কলকাতা, 16 জুন 2025: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের শক্তিকেই প্রমাণ করল Nippon India Growth Fund। 1996 সালের অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে মাত্র ₹10,000 করে Systematic Investment Plan (SIP) চালিয়ে যাঁরা 25 বছর ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অবরুদ্ধ মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ₹10 কোটি



কেন Nippon India Growth Fund?

  • লঞ্চ: অক্টোবর ১৯৯৬

  • ধরণ: মি়ড-ক্যাপ ও ইকুইটি-ব্লেনডেড ফান্ড

  • কোম্পানি বেছে নেওয়া: কোয়ালিটি ব্যবসার উপর মনোযোগ, নিদিষ্ট মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় পজিশনিং 

SIP ক্যালকুলেশন:

  • মাসিক বিনিয়োগ: ₹10,000

  • মোট বিনিয়োগ: ₹10,000 × 12 × 25 ≈ ₹30 লক্ষ

  • আন্তরিক মূল্যায়ন (XIRR): 22.84%

  • সমাপ্তি মূল্য: ≈ ₹10 কোটি

এই 22.84%% এর বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধির ফলে মাত্র ₹30 লক্ষের বিনিয়োগ 25 বছরে ছাপিয়ে গেল ‌₹10 কোটিকে।

কী শেখায় এই ম্যাজিক?

  1. সময় + ডিসিপ্লিন: শুরু থেকে নিয়মিত SIP চালাতে পারলেই কম মূলধনেও বিরাট সম্পদ গড়া সম্ভব।

  2. দীর্ঘমেয়াদি ফোকাস: স্বল্পমেয়াদি উত্থান-পতন এড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে এফেক্ট নিয়ে আসে।

  3. মাঝে মাঝে রিব্যালান্স: ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত দেখতে ফান্ড হাউস নিয়মিত পোর্টফোলিও রিভিউ করে।

  4. মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি রিটার্ন: মি়ড-ক্যাপ সেগমেন্টের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে মাঝারি রিস্কে অধিক রিটার্নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি

ডঃ অমৃতা সেন (ইকুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট):
“Nippon India Growth Fund-এর সাফল্য দেখাচ্ছে—সঠিক স্টক পিকিং, ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট এবং দীর্ঘ মেয়াদি মনোভাব মিলে SIP-এর মাধ্যমে অসাধারণ পারফর্মেন্স আসতে পারে।”

বিনিয়োগের আগে মনে রাখবেন

  • মুনাফা অতীতের ছবি: অতীত ফলাফল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নয়।

  • মার্কেট ভোলাটিলিটি: মাঝেমধ্যে বিনিয়োগের মূল্য পড়ে যেতে পারে।

  • লিকুইডিটি: SIP রিডিম্পশন শর্ত ও চার্জ দেখতে ভুলবেন না।

  • ডাইভার্সিফিকেশন: একাধিক ফান্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমায়।

উপসংহার:
যদি আপনার লক্ষ্য হয় দীর্ঘমেয়াদে স্বল্প মাসিক বিনিয়োগে বড় সম্পদ গড়ে তোলা, তবে Nippon India Growth Fund-এর মতো প্রতিষ্ঠিত ফান্ডের SIP স্ট্র্যাটেজি গবেষণা করে দেখুন। সময়, ধৈর্য আর শৃঙ্খਲਾ মিললেই ২৫ বছরে ‘কোটিপতি SIP’ হওয়ার পথ উন্মুক্ত!

ট্রায়াল রুমে লাইন? মাথা ঠান্ডা রাখুন, জিন্‌স মাপার হ্যাক শিখে নিন!

দোকানে জিন্‌স কিনতে গেলেন, কিন্তু ট্রায়ালরুমে লম্বা লাইন? অথচ আপনাকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে? এখন না পরে মাপ দেখে জিন্‌স কেনার এক দারুণ টিপস রইল আপনার জন্য।



টিপস ১: গলার চারপাশে জিন্‌স র‍্যাপ করে দেখুন
জিন্‌সের কোমরের অংশ (waistline) আপনার গলার চারপাশে পেঁচিয়ে ধরুন। যদি দু’পাশ একদম ঠিকঠাক মিলিয়ে যায়—না বেশি টাইট, না ঢিলেঢালা—তাহলে বুঝবেন এটা আপনার সাইজ।
কারণ? গলার পরিধি সাধারণত কোমরের অর্ধেক হয়।

টিপস ২: কবজির কনুই পর্যন্ত কোমর মাপুন
জিন্‌সের কোমরের অংশ এক হাতে ধরে, অন্য হাতে কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত সোজা করে মাপুন। যদি সেই দৈর্ঘ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে সাইজ প্রায় মিলবে।

টিপস ৩: হাঁটু থেকে গোড়ালি — ইনসাইড লেন্থ টেস্ট
জিন্‌সটি পায়ের কাছে ধরে হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মিলিয়ে নিন। যদি দৈর্ঘ্য শরীরের অনুপাতে ঠিকঠাক দেখায়, তাহলে জিন্‌সটি ছোট বা বড় হবে না।

টিপস ৪: পকেট টেস্ট
জিন্‌সের পকেটে হাত দিন—যদি হাতটা স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে আর পকেটের গভীরতা বেশি না হয়, তবে বুঝবেন ফিটিং ঠিকঠাক।

এই টিপসগুলো পুরুষ ও মহিলাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই কাজ করে। বিশেষত শপিং মলে, ডিসকাউন্ট সেলে বা স্ট্রিট মার্কেটে দ্রুত সাইজ যাচাই করতে গেলে এই হ্যাক একদম পারফেক্ট।

মনে রাখবেন, ব্র্যান্ড অনুযায়ী মাপ কিছুটা আলাদা হতে পারে। তাই একবার কিনে নেওয়ার পর হেল্পলাইন বা এক্সচেঞ্জ পলিসিও দেখে রাখুন।

এবার না পরেই জিন্‌স কেনা সহজ, ঝঞ্ঝাটমুক্ত! আপনি চেষ্টা করে দেখুন — ওয়ার্ক করলেই আমাদের জানাতে ভুলবেন না!


মা ধারী দেবীর রোষেই কেদারনাথ বিপর্যয়?” — গায়ে কাঁটা-দেওয়া অলৌকিক কাহিনি

ধারী দেবী ও কেদারনাথ: অলৌকিক যোগসূত্র?

২০১৩ সালের ১৬ জুন, রাতারাতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় উত্তরাখণ্ডের পবিত্র কেদারনাথ ধাম। পাহাড় কেঁপে উঠেছিল। ভয়ানক বৃষ্টিপাত, হিমবাহ ফেটে তৈরি হওয়া ভূমিধ্বস, প্রবল জলস্রোত আর কাদা—সবকিছু মিশে গিয়েছিল সেই বিপর্যয়ে। মারা গিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে এক অলৌকিক কাহিনি আজও আলোচনার কেন্দ্রে—‘মা ধারী দেবীর রোষ।’




কে এই মা ধারী দেবী?

উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার আলকানন্দা নদীর ধারে বিরাজমান মা ধারী দেবীকে হিমালয়ের রক্ষাকালীরূপে মানা হয়। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মা ধারী দেবীর বিগ্রহ যেখানে স্থাপিত থাকে, সেখানকার মানুষ প্রাকৃতিক ও অপার্থিব বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকেন। কিন্তু সেই ১৬ জুনের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল মা ধারী দেবীর বিগ্রহ—এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের জন্য।

এটাই কি ছিল “অপশকুন”?

স্থানীয়রা বলেন,

“যেই মূর্তি সরানো হল, সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি রেগে গেল। সেই রাতেই ঘটল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর দুর্যোগ।”

অনেকেই মনে করেন, মা ধারী দেবীর রোষেই নেমে এসেছিল সেই ভয়ংকর ধ্বংসের স্রোত—যা শুধুমাত্র প্রকৃতি নয়, যেন এক অলৌকিক শক্তির রূপ নিয়েছিল। কেদারনাথ মন্দির ঠিকঠাক থাকলেও, আশেপাশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। কাকতালীয় হলেও, এই ঘটনাই বহু মানুষের মনে সৃষ্টি করে ধর্মীয় আশ্চর্য এবং ভক্তির নতুন এক অধ্যায়।

বিজ্ঞান বনাম বিশ্বাস

বিজ্ঞান বলে, চোরাবালি, গ্লেসিয়ার ফাটল, টানা বর্ষণ এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজের ফলেই এই দুর্যোগ হয়েছিল। কিন্তু বহু স্থানীয় বাসিন্দা ও তীর্থযাত্রী আজও বিশ্বাস করেন, এটা ছিল মা ধারী দেবীর অভিশাপ।

আজও প্রতিবছর ১৬ জুন এলেই কেঁপে ওঠে পাহাড়বাসীর মন।

এটা শুধুই প্রকৃতির খেলা? নাকি ঈশ্বরের প্রতিশোধ? কেদারনাথ বিপর্যয়ের পিছনে কি প্রকৃতি, মানুষ, না অলৌকিক শক্তির সম্মিলন—এই প্রশ্ন এখনও ঘুরে বেড়ায় হিমালয়ের পবিত্র বাতাসে।

আপনি কী বিশ্বাস করেন? মা ধারী দেবীর রোষই কি কেদারনাথ ধ্বংসের কারণ? নিচে কমেন্টে জানান মতামত।

© all rights reserved
STASNET