বিনোদন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিনোদন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সিনেমার পর্দা থেকে বাস্তব জীবনে — ‘আপিস’ দেখেই আত্মবিশ্বাসী পরিচারিকারা

 বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে এসে বললেন, “নিজের উপার্জনেই আসে মর্যাদা, আসে সাহস”

সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ পরিচালিত নতুন ছবি ‘আপিস’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। ছবিতে সন্দীপ্তা সেন এক কর্মজীবী নারীর চরিত্রে, যিনি বাইরে চাকরি সামলালেও বাড়ির কাজে নির্ভর করেন এক দক্ষ পরিচারিকার উপর। সেই পরিচারিকার ভূমিকায় রয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, যাঁর সাবলীল অভিনয় আবারও মন জয় করেছে দর্শকদের।

সম্প্রতি কলকাতার এক মাল্টিপ্লেক্সে আয়োজিত হয় ছবিটির বিশেষ স্ক্রিনিং, যেখানে উপস্থিত ছিলেন একদল বাস্তবের পরিচারিকা। তাঁরা ছবি দেখলেন, হাসলেন, কাঁদলেন, এবং ছবি শেষ হওয়ার পর তাঁদের অভিমত জানালেন অকপটে।

একজন পরিচারিকা জানালেন,

“কোনও কাজই ছোট নয়। যাঁরা বাড়িতে কাজ করেন, তাঁরাও তো ঘর সামলান, বাচ্চা বড় করেন, আয় করেন। সেই কাজও সম্মানের।”

আরও একজন বললেন,

“ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাবা-মায়ের চিকিৎসা — সব সামলাতে নিজের উপার্জন জরুরি। এই ছবি দেখে আরও শক্তি পেলাম।”

পরিচারিকাদের অনেকেই সেদিন সঙ্গে এনেছিলেন সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের। সিনেমা শেষে তাঁরা দেখা করেন পরিচালকদের সঙ্গে, ছবি তোলেন সন্দীপ্তা ও সুদীপ্তার সঙ্গে, আর জানান তাঁদের ভালো লাগা। কেউ কেউ বললেন, “এমন গল্প আমাদের কথাই বলে। এবার আমরা আরও গর্ব করে বলব— আমরা কাজ করি, আমরা উপার্জন করি।”

সত্যিকারের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠল ‘আপিস’, বিশেষত সেই সব নারীদের জন্য, যাঁরা নীরবে সমাজের ভিত গড়ে চলেন প্রতিদিন।


২৫ বছর সংসার, দীর্ঘদিন আলাদা থেকেও ডিভোর্স করেননি মাধবী মুখার্জি

বিনোদন ডেস্ক |

সুখী দাম্পত্য মানেই কি একই ছাদের নিচে থাকা? অভিনেত্রী মাধবী মুখার্জির জীবন বলছে, গল্পটা এর থেকেও আলাদা হতে পারে। ২৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক — কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের নিচে নেই তিনি। তবু নেই কোনও আইনি বিচ্ছেদ। সম্পর্কের এই নিঃশব্দ রূপ নিয়ে ফের আলোচনায় অভিনেত্রী মাধবী।



বাংলা চলচ্চিত্রের গর্ব

মাধবী মুখার্জি — যাঁর নাম শুনলেই ‘চারুলতা’, ‘মেমসাহেব’ কিংবা ‘কাপুরুষ’-এর মতো ছবিগুলোর কথা মনে পড়ে। তিনি সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ পরিচালকদের প্রিয় মুখ ছিলেন। কর্মজীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবনও ছিল অনেকটা সিনেমার মতোই জটিল এবং গভীর।

সম্পর্কের টানাপোড়েন, তবু আইনি বিচ্ছেদ নয়

তিনি বিয়ে করেছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা নীরাজ মুখার্জিকে। প্রথমদিকে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একসঙ্গে থাকা বন্ধ হয়ে যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয়, মাধবী কখনওই আইনি বিচ্ছেদের পথে যাননি।

এক সাক্ষাৎকারে মাধবী বলেছিলেন,

"আমি ডিভোর্স দিইনি। তবে আমরা একসঙ্গে থাকি না বহুদিন। আমার নিজের সিদ্ধান্ত ছিল, সম্পর্কের থেকেও আত্মসম্মান বড়।"

স্বামী থেকে আলাদা থাকলেও, একা নন

একান্তে থাকলেও তিনি কখনও নিজেকে একা ভাবেননি। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে, যাঁরা এখন সফল ও প্রতিষ্ঠিত। মাধবী বরাবরই পরিবারকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু নিজের সম্মান বা স্বাধীনতাকে কখনও বিসর্জন দেননি।

সাহস ও আত্মমর্যাদার প্রতীক

মাধবী মুখার্জির জীবন বহু নারীর কাছে অনুপ্রেরণা। নিঃশব্দে তিনি প্রমাণ করেছেন, সম্পর্কের সফলতা মানেই শুধুই একসঙ্গে থাকা নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।


**ফাদার্স ডে-তে মাতৃত্বের ছোঁয়া:** “সিদ্ধার্থ হবে দুর্দান্ত বাবা” — কিয়ারার আবেগঘন বার্তা ভাইরাল

ফাদার্স ডে-তে কিয়ারার আবেগঘন বার্তা: আজ ফাদার্স ডে-তে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম ও কৃতজ্ঞতার ছোঁয়া— অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানী দিলেন বিশেষ বার্তা স্বামী সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে। এখনও মা না হলেও, ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে বললেন—

সিদ্ধার্থ শুধু একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী নয়, একজন অসাধারণ বাবা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করবে। আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তান সত্যিই ধন্য হবে ওকে পেয়ে।


 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসা উজাড়

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কিয়ারা পোস্ট করেন একটি পুরনো ছবির কোলাজ, যেখানে সিদ্ধার্থ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। সেই ছবির ক্যাপশনেই লেখা ছিল এই হৃদয়স্পর্শী কথা।

বলিউডের পাওয়ার কাপল

২০২৩ সালে বিয়ের পর থেকেই সিদ্ধার্থ-কিয়ারার জুটি বলিউডের অন্যতম চর্চিত ও জনপ্রিয় দম্পতি। তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না, তবে বিশেষ দিনগুলোয় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা জানাতে ছাড়েন না তাঁরা।

বলিউড জুড়ে শুভেচ্ছা

এই পোস্টের পর বলিউডের সহকর্মীরাও মন্তব্য করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দম্পতিকে। অনেকে ভবিষ্যতের প্যারেন্টহুডের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন।

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...’ — বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ স্বামী, উৎকণ্ঠায় দেবলীনা | দেবলীনার প্রার্থনা:

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...’

বিমান দুর্ঘটনায় উৎকণ্ঠায় ক্যাপ্টেন-পত্নী ও অভিনেত্রী দেবলীনা

যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...', বিমান দুর্ঘটনায় উৎকণ্ঠায় ক্যাপ্টেন পত্নী ও শিল্পী দেবলীনা


আজ সকালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে টলিউড অভিনেত্রী দেবলীনা-র পরিবারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই বিমানের পাইলটদের মধ্যে ছিলেন তার স্বামীও। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নাম প্রকাশ করা হয়নি, দেবলীনার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তার উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট।

দেবলীনা লিখেছেন—

“যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ আমি পুরো। ফিরে এসো...”
সাথে দিয়েছেন স্বামীর সঙ্গে কাটানো এক পুরনো মুহূর্তের ছবি।

দুর্ঘটনার কারণ:
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাঝআকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়ে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এখনও পর্যন্ত নিহত বা আহতদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
উদ্ধারকাজ চলছে।

দেবলীনা একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবর আড়ালেই রেখেছেন। তবে এই ঘটনার পর থেকে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে সাহস জুগিয়ে বলছেন—

“ও ফিরে আসবেই, ওর জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি।”

Stasnet-এর পক্ষ থেকে আমরা দেবলীনার পরিবার ও দুর্ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি।


অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ, মুখ খুললেন প্রযোজকের স্ত্রী

টলিপাড়ায় ফের চাঞ্চল্য। অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী কুণাল বর্মার বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ করলেন প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে-র স্ত্রী মালবিকা দে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিস্ফোরক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, গোয়াতে তাঁর স্বামীকে টাকার জন্য অপহরণ করেছিলেন পূজা ও কুণাল, সহযোগী হিসেবে নাম উঠে এসেছে পীযুষ কোঠারিরও।



অভিযোগের মূলপয়েন্ট:

  • অপহরণের অভিযোগ:
    মালবিকার দাবি, পূজা ও কুণাল গোয়াতে শ্যামসুন্দর দে-কে আটকে রাখেন। তাঁর কথায়, “টাকার জন্য ওরা অপহরণ করেছিল।”

  • আইনি পদক্ষেপ:
    ইতিমধ্যেই উত্তর গোয়ার SP-র তত্ত্বাবধানে গোয়া পুলিশের সহযোগিতায় শ্যামসুন্দরকে উদ্ধার করা হয়েছে। FIR দায়ের হয়েছে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল বর্মা ও পীযুষ কোঠারির নামে। কলকাতায় ফিরে সল্টলেক ইলেকট্রনিকস কমপ্লেক্স থানাতেও আলাদা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

  • ব্যবসায়িক সম্পর্ক:
    শ্যামসুন্দর দে জানিয়েছেন, পূজার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল ঠিকই। কিন্তু টাকা পাওনা থাকলে তা এভাবে শাসিয়ে আদায় করার পথ তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না।

“আমি এখনও ট্রমার মধ্যে আছি। বন্ধুত্ব, বিশ্বাস— সব কিছু ভেঙে গেল। আইনেই এর বিচার চাই,” — শ্যামসুন্দর দে (নিউজ ১৮ বাংলাকে)

পূজার প্রতিক্রিয়া:

সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হলে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,

“এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে চাই না। সত্যিটা খুব শীঘ্রই সামনে আসবে।”

এর বাইরে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি, ফোনও ধরছেন না।

কী বলছে আইনজীবী মহল?

আইনজীবীদের মতে, ব্যবসায়িক বিরোধ থাকলেও কাউকে আটকে রাখা বা শারীরিকভাবে প্রতারণা ও হুমকি দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। যদি অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে IPC-র 364 ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি হতে পারে।

উপসংহার:

টলিউডে বন্ধুত্ব আর ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে আগেও বহু বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু এত বড় স্তরে অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম জড়ানো নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। এবার নজর থাকবে, তদন্ত কোন দিকে এগোয় এবং সত্যিই কী সত্যিটা সামনে আসে?


সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক মৃত্যু: শেষকৃত্য দিল্লিতে, করিশ্মা থাকবেন কি?



লন্ডন / দিল্লি | ১৪ জুন ২০২৫ | The Stasnet প্রতিবেদক

নামী ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন পোলো খেলোয়াড় সঞ্জয় কাপুর, যিনি বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী, বৃহস্পতিবার লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর

সূত্র অনুযায়ী, একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন মৌমাছি গিলে ফেলায় শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার পরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

শেষকৃত্য হবে দিল্লিতে, মরদেহ আনতে দেরি

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য হবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু লন্ডনে ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মরদেহ ভারতে আনতে কিছুটা সময় লাগবে, জানিয়েছেন সঞ্জয়ের শ্বশুর অশোক সচদেব

পরিবারে সম্পর্ক: করিশ্মা ও সন্তানদের জীবন

২০০৩ সালে করিশ্মা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান — সামিরা (২০০৫) এবং কিয়ান (২০১১)। বিচ্ছেদ ঘটে ২০১৬ সালে। এর পর থেকে করিশ্মাই একা হাতে সন্তানদের বড় করছেন।

সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই করিশ্মার পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা। বোন করিনা কাপুর এবং দুলাভাই সইফ আলি খান রাতেই করিশ্মার বাড়িতে পৌঁছন। পরে আসেন বন্ধুরা — অমৃতা আরোরামালাইকা আরোরা

শেষকৃত্যে করিশ্মা ও সন্তানরা থাকবেন কি?

সঞ্জয়ের শেষ বিদায় জানাতে করিশ্মা কাপুর ও তাঁর সন্তানরা দিল্লিতে শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি অভিনেত্রীর পরিবার বা টিম।

একজন পিতা, প্রাক্তন সঙ্গী ও স্পোর্টসম্যানের হঠাৎ বিদায়

এই মৃত্যু শুধুমাত্র বলিউডে নয়, কাপুর পরিবার ও তাঁদের সন্তানদের জীবনেও এক গভীর শোকের ছায়া ফেলল


© all rights reserved
STASNET