রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

পেটানো, লাথি, অপমান—তবুও চাকরির জন্য পুলিশের পা ধরলেন! ভোটের দিন কালীগঞ্জ উত্তপ্ত

SSC : এসএসসি আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য। কখনও কসবার ডিআই অফিস, কখনও বিকাশ ভবন—এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের লাগাতার লাঠিচার্জ, লাথির পরেও এক চাকরিপ্রার্থী পুলিশের পা ধরে আকুতি জানাতে দেখা গেল, “আমার একটা চাকরি দিন!”


এই চিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়—রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ও চাকরিপ্রক্রিয়ার গভীর সংকট।

নদিয়া উপনির্বাচনে অশান্তির ছাপ, তবুও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বুথে ভোটার

স্থান: কালীগঞ্জ, নদিয়া
ঘটনা ১: অনন্তপুরের ২০৪ নম্বর বুথে কংগ্রেস এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনা ২: মীরা ওয়ান হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১ নম্বর বুথে কংগ্রেস এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও ভোটদানে উৎসাহে ভাটা পড়েনি। ছাতা মাথায় নিয়েই সাধারণ মানুষ সকাল সকাল বুথে হাজির হয়েছেন। অনেকেই জানিয়েছেন—“ভোট দিয়ে এরপর কাজে বেরোতে হবে।”

এই আন্দোলন ও ভোট পর্ব রাজ্যের রাজনীতিকে কোন পথে নিয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।


মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মার, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ! খাতড়ায় তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল, উত্তাল রাজনীতি

Bankura: মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মার! প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, তুলকালাম পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়...

বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ — রাজনৈতিক উত্তাপে জ্বলছে বাঁকুড়া। শুক্রবার রাতে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির উপর খাতড়ার ভরা বাজারে হামলার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

পুলিশ ইতিমধ্যেই ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি শনিবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা কার্যালয়ে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুরও করা হয়। এরপর রবিবার বিজেপি বাঁকুড়া সদর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার।

এই আবহে সোমবার পাল্টা পথে নামল তৃণমূল। খাতড়া বাজারে তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিলে অংশ নেন স্বয়ং মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। তাঁর দাবি, "খাতড়াকে এতদিন শান্ত রেখেছিলাম। কিন্তু বিজেপির গুন্ডাবাহিনী এখানে অশান্তি সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষ যাতে BJP-র মুখোশ চিনতে পারে, সেই কারণেই এই সভা।"

তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিজেপির পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক হিংসার অংশ। অপরদিকে, বিজেপির দাবি—পুলিশ ও শাসকদল মিলে গণতন্ত্রকে লাঞ্ছিত করছে।

মূল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে:

  • আক্রান্ত: তুহিন মান্ডি, খাদ্য সরবরাহ রাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বামী

  • স্থান: খাতড়া, বাঁকুড়া

  • অভিযুক্ত: বিজেপি

  • পালটা দাবি: পুলিশ বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়

  • রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: বিজেপির বিক্ষোভের পরে তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও সভা

  • মুখোমুখি অবস্থান: শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার বনাম জ্যোৎস্না মান্ডি


লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কুকথার প্রতিবাদে সন্দেশখালিতে তৃণমূলের পাল্টা সভা

সন্দেশখালির সভা থেকে শুভেন্দুর মন্তব্যের জবাব — লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কুকথা, তৃণমূলের পাল্টা সভা ও প্রতিবাদ



গত ৯ জুন বিজেপি নেতা ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির মঠবাড়িতে এক রাজনৈতিক সভায় বলেন,

“লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাঁচশো-হাজার টাকার জন্য মহিলারা নিজেদের শাখা-সিঁদুর বিসর্জন দিচ্ছেন।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পে তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।”

এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়ায়। মহিলা সমাজের অপমান হয়েছে বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন এবং আজ রবিবার সন্দেশখালিতে পাল্টা সভার আয়োজন করে বিষয়টি আরও সরব করে তোলে।

আজকের পাল্টা সভার মূল বক্তব্য:

কাকলি ঘোষ দস্তিদার (TMC সাংসদ):
“শুভেন্দু অধিকারী মহিলাদের অপমান করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কোনও দান নয়, এটি বাংলার মায়েদের অধিকার। ওঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”

শশী পাঁজা (রাজ্যের মন্ত্রী):
“নারীদের সম্মান নিয়ে বিজেপির মুখে বড় কথা মানায় না। যারা মা, বোনদের টাকার সঙ্গে তুলনা করে কটূক্তি করেন, তারা রাজ্যের জন্য বিপজ্জনক।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব:
“সন্দেশখালির ভূমিপুত্র ও ভূমিকন্যারা শুভেন্দুর ভাষা মানে না। যাঁরা এখানে বারবার অপপ্রচার করেন, তাঁদের জবাব দেবে জনতা।”

মহিলা কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ:

এই সভায় ছিলেন প্রচুর মহিলা তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড —
“আমরা মায়েরা বিক্রি হই না”,
“শুভেন্দুর কুকথার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলাম”,
“লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমাদের সম্মান”

স্থানীয় এক মহিলার মন্তব্য:

“আমরা আমাদের শাখা-সিঁদুরকে সম্মানের চোখে দেখি। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য আমাদের আত্মসম্মানে আঘাত। ওঁর ক্ষমা চাইতেই হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সভা ছিল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • নারী ভোটারদের মন জয় করা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলাকে সহায়তা করে। বিজেপি নেতার মন্তব্যকে সামনে এনে তৃণমূল এই ভোটব্যাঙ্ককে আরও দৃঢ় করতে চাইছে।

  • সন্দেশখালি ঘিরে তাপমাত্রা বাড়ানো: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সন্দেশখালির পরিস্থিতি বিজেপি বারবার আলোচনায় আনছে। তাই তৃণমূলও জবাব দিতে চায় তাদের ‘ঘাঁটিতেই’।

  • লক্ষ্য লোকসভা ২০২৬: মহিলা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বড় ‘কাউন্টার-ন্যারেটিভ’ গড়ে তুলছে তৃণমূল।

উপসংহার:

সন্দেশখালির কনমারি বাজারের এই পাল্টা সভা স্পষ্ট করে দিয়েছে — তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে চায়। বাংলার নারীদের অপমানের বিরুদ্ধে একপ্রকার মহিলা প্রতিরোধ মঞ্চ হয়ে উঠেছে এই সভা। এখন দেখার, শুভেন্দু অধিকারী এর পরে কী জবাব দেন।


রথযাত্রার আগে প্রশাসনিক সাফাইকাজে জোর, মমতার মুখে ‘সোনার ঝাড়ু’র উদাহরণ

নবান্নে মমতার রথপূর্ব বৈঠক

সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করার কথা! রথযাত্রার আগে বড়সড় প্রশাসনিক বৈঠকে কী কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?



কলকাতা: রথযাত্রা উপলক্ষে রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে আজ নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কর্তারা, পুলিশ, পুরসভা ও পূর্ত দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে যেমন ছিল হাস্যরসের ছোঁয়া, তেমনই ছিল কঠোর বার্তা

সোনার ঝাড়ুর কথায় চমক, কিন্তু বার্তা স্পষ্ট!

মুখ্যমন্ত্রী বলেন:

“প্যান্ডেল, রাস্তা, আশপাশ—সব ঝকঝকে চাই। দরকার হলে সোনার ঝাড়ু আনুন! কিন্তু একফোঁটা গন্ধ, ময়লা চলবে না।”

এই মন্তব্যে উপস্থিত অফিসারদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে ঠিকই, কিন্তু সবাই বুঝে যান—এটা শুধু রসিকতা নয়, প্রশাসনিক কঠোর নির্দেশও

কী কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?

  1. রথযাত্রা ঘিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হবে

  2. পুরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রাখার নির্দেশ

  3. রাস্তা, প্যান্ডেল ও আশপাশের এলাকা সাফ-সুতরো রাখতে থাকবে ২৪x৭ নজরদারি টিম

  4. জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রতিটি রথমার্গে মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট রাখা হবে

 স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর

  • গরমে অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা

  • রাস্তার ধারে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ ও শৌচাগার স্থাপন

  • CCTV ও ড্রোন নজরদারি চালু থাকবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে

Stasnet বিশ্লেষণ:

মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক একদিকে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসচেতনতার বার্তা, অপরদিকে রথযাত্রাকে ঘিরে সরকারি ভাবমূর্তি বজায় রাখার কৌশল বলেই বিশ্লেষকদের মত। "সোনার ঝাড়ু" কৌতুকের আড়ালে রয়েছে এক প্রকার জিরো টলারেন্স বার্তা


২৪ ঘণ্টার মাথায় ইরানের পাল্টা আঘাত, তেল আভিভ কাঁপল ভয়াবহ বিস্ফোরণে

তেহরানের পাল্টা প্রত্যাঘাত: লৌহঢাল ভেদ করে তেল আভিভে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইজ়রায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চরম প্রত্যাঘাত হেনেছে ইরান। শুক্রবার গভীর রাতে ইরানের একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিভের প্রাণকেন্দ্রে আছড়ে পড়ে। লক্ষ্য ছিল ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF)-এর সদর দফতর ‘দ্য কিরইয়া’।

কীভাবে ঘটল হামলা?

তেহরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বা ‘লৌহঢাল’-এর প্রতিরোধ ভেঙে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তেল আভিভের সেনা সদর দফতরে সরাসরি আঘাত হানছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। মুহূর্তে বিস্ফোরণ এবং আলোর ঝলকে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল।

কোন কোন এলাকায় হামলা?

  • দ্য কিরইয়া: সেনা সদর দফতর, প্রধান লক্ষ্য।

  • রমাত গান: বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি।

  • রিশন লেজ়িয়ন: বহুতলের একাংশ ধসে পড়ে।

 হতাহতের হিসাব:

  • ইজ়রায়েল: ৩ জন নিহত।

  • ইরান: পাল্টা ইজ়রায়েলি হামলায় ৭৮ জনের মৃত্যু, আহত ৩০০+।

প্রতিক্রিয়া:

IDF মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেন,

“আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। তবে কিছু ধ্বংসাবশেষই মারাত্মক ক্ষতি করেছে।”

IDF আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি টুইটে লেখেন,

“এই উত্তেজনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইরান। তাদের উদ্দেশ্য ইজ়রায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।”


© all rights reserved
STASNET