রাত তখন সাড়ে তিনটে। শহর ঘুমিয়ে, রাস্তাঘাট শুনশান। ঠিক সেই সময় মুচিপাড়ার গলির মাথায় একটি রহস্যময় ছায়ামূর্তি দেখা যায়। মাথায় ছাতা, মুখ ঢাকা। ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার গতিবিধি—আর এখান থেকেই খুলতে শুরু করে এক চাঞ্চল্যকর খুনের ফাইল।
ছাতা দিয়ে গা ঢাকা, তবু লুকোতে পারল না
CCTV ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ছাতা মাথায় দিয়ে একটি ব্যাগ টানতে টানতে এগোচ্ছে। তার গতি, চালচলন আর সময়—all too calculated। ঠিক যেমন ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করা খুনি করে।
পুলিশের সন্দেহ বাড়ে—ছাতার আড়ালে কি এমন লুকোচ্ছিল, যা কেউ দেখতে পেলে ভয় পেত?
মুচিপাড়া থানার পুলিশের তৎপরতা
-
৬ ঘণ্টার মধ্যে ক্লু বিশ্লেষণ
-
ছাতার ধরন অনুযায়ী দোকান শনাক্ত
-
শেষমেশ ধরাও পড়ল অভিযুক্ত: তপন বিশ্বাস (৩৫), স্থানীয় পরিচিত এক ইলেকট্রিশিয়ান
মামলার বিবরণ:
-
অভিযোগ: প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে খুন
-
অস্ত্র: ধারালো ব্লেড ও দড়ি
-
মৃত: রুনা ঘোষ (২৯), গার্মেন্টস কর্মী
-
খুনের পর মৃতদেহ রাখা হয়েছিল প্লাস্টিকে, ছাতা দিয়ে আড়াল করে ফেলা হয়
পুলিশ জানায়:
“ছাতাটা শুধু বৃষ্টির আড়াল ছিল না, খুনের পর গা ঢাকা দেওয়ার অস্ত্র হয়ে উঠেছিল। তবে মুচিপাড়া থানার টিম সেই ছায়ার আড়াল ভেদ করতেই পেরেছে।”
Stasnet Verdict:
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—যতই পরিকল্পনা থাকুক, শহরের চোখ (CCTV) আর পুলিশের যুক্তি মিললে অপরাধী লুকোতে পারে না। মুচিপাড়া থানার দ্রুত পদক্ষেপ ও বিশ্লেষণ দক্ষতা এই মামলায় অপরাধীকে কাবু করেছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Questions and Answers