অবশ্যই! আপনি যেহেতু “৫৪ বছর আগের ভারত-পাক যুদ্ধের দিনগুলোই ফিরছে?” – এই ভাবনার উপর ভিত্তি করে খবর বা তথ্য চাইছেন, তাই এখানে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরলাম:
ইতিহাস: ৫৪ বছর আগের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (১৯৭১)
যুদ্ধের কারণ:
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মূলত পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়।
-
পাকিস্তানের দুই অংশ ছিল – পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) ও পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)।
-
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
-
কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
-
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী “অপারেশন সার্চলাইট” নামে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা শুরু করে।
-
লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতের পূর্বাঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করে।
ভারতের ভূমিকা:
ভারত শুরুতে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করলেও শরণার্থী সমস্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে।
-
৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে (প্রথমে লাহোর, পাঠানকোট ইত্যাদি এলাকায়)।
-
এরই সঙ্গে ভারত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে প্রবেশ করে।
-
ভারতীয় সেনাবাহিনী, মুক্তি বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত এগোতে থাকে।
যুদ্ধের ফলাফল:
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ।
-
৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে — এটি ছিল ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ আত্মসমর্পণ।
-
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বর্তমান প্রেক্ষাপট: ইতিহাস কি ফিরছে?
মিল:
-
সীমান্তে সাইরেন, আলো নিভিয়ে রাখা, যুদ্ধের প্রস্তুতির মতো সতর্কতা।
-
সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি — বিশেষ করে কাশ্মীর বা আন্তর্জাতিক সীমান্তে।
-
যুদ্ধবিমান, ড্রোন, এবং সামরিক মহড়া বৃদ্ধি।
-
মিডিয়াতে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা।
অমিল:
-
এখন ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ।
-
কূটনৈতিক চাপ, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা, ও গণমাধ্যমের প্রচার যুদ্ধ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-
যুদ্ধ এখন শুধুই মাটির দখল নয়, সাইবার, তথ্য, ও প্রোপাগান্ডার লড়াইতেও রূপ নিচ্ছে।
উপসংহার:
১৯৭১ সালের মতো খোলা যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনকার তুলনায় অনেক জটিল। তবে যখন সাইরেন বাজে, আলো নিভে যায়, মানুষ আতঙ্কে থাকে — তখন ইতিহাসের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। একথা অস্বীকার করা যায় না যে যুদ্ধের দিনগুলোর স্মৃতি আজও বেঁচে আছে সাধারণ মানুষের মনে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Questions and Answers