রাস্তায় খেলা থেকে বিশ্বসেরার ট্রফি—বাভুমা লিখলেন ইতিহাস

Stasnet Special | Inspirational Story

রাস্তায় খেলতেন ক্রিকেট! সেখান থেকে বিশ্বজয়! টেম্বা বাভুমার অজানা লড়াইয়ের কাহিনি



আজ যাঁকে বিশ্বের অন্যতম সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ধরা হয়, সেই টেম্বা বাভুমা এক সময়ে রাস্তায় টেনিস বলেই খেলতেন ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার টাউনশিপের সরু গলির পাশ থেকে উঠে আসা এই ব্যাটারের জীবন কাহিনি শুধুই এক খেলোয়াড়ের সাফল্যের গল্প নয়—এ এক সংগ্রামের ইতিহাস, এক অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহসী পথচলা

        ছোটবেলার সংগ্রাম

  • জন্ম: লাঙ্গালাহে (Langa), কেপ টাউন, যেখানে সুযোগের চেয়ে বাধা বেশি ছিল।

  • ঘরে টিভি ছিল না, পাড়ার রাস্তাতেই ক্রিকেট খেলা শিখতেন।

  • বর্ণবৈষম্য ও দারিদ্র্যের আবহে বড় হওয়া এক প্রতিভা।

বাভুমা বলেন:
“আমার চারপাশে যখন কেউ বিশ্বাস করত না, তখন আমি নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম।”

         ক্রিকেটে উত্থান

  • প্রথম ব্রেক: Gauteng Cricket Academy

  • ২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক ভারত সফরে

  • ইতিহাস গড়েন ২০১৬ সালে: প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকান যিনি টেস্টে শতরান করেন

    WTC 2025 জয়ের নায়ক

টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে। কৌশলী নেতৃত্ব, দলীয় সংহতি ও ব্যাট হাতে দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতায় তিনি আজ কিংবদন্তির মর্যাদা পাচ্ছেন।

বাভুমার বার্তা:
“আমার এই যাত্রা প্রমাণ করে—পেছনের রাস্তা যাই হোক, সামনে এগোনোর পথ কখনও বন্ধ হয় না।”

Stasnet Verdict

টেম্বা বাভুমার জীবনের কাহিনি বিশ্ব ক্রিকেটকে আরও মানবিক করে তোলে। শুধুমাত্র দক্ষতা নয়, তাঁর লড়াই ও মানসিক জেদ তরুণ প্রজন্মের কাছে এক আলোকবর্তিকা


WTC ফাইনালে মারক্রামের ইনিংস ‘ঐতিহাসিক’, বললেন সৌরভ

Sourav On WTC Final

"মারক্রামের ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে জায়গা পাবে" — প্রশংসায় ভরালেন সৌরভ গাঙ্গুলি

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালে অ্যাইডেন মারক্রামের দুর্দান্ত ইনিংস নিয়ে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন,



"মারক্রাম যেভাবে চাপের মধ্যে ব্যাট করেছে, তা সত্যিই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসগুলোর একটি।"

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে চাপে পড়েও মারক্রামের ১৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায়। সৌরভ বলেন, এই ইনিংস শুধু স্কোরের দিক থেকেই নয়, মানসিকতা ও টেম্পারমেন্টেরও নিদর্শন।

মারক্রামের ইনিংস সংক্ষেপে:

  • রান: ১৮৫ (৪৫৩ বলে)

  • চার: ২২, ছয়: ৩

  • পরিস্থিতি: দল ৫২/3 অবস্থায় ছিল

  • ইনিংসের সময়: ৬.৫ ঘন্টা

এই ইনিংস শুধু রান করার নয়, বরং প্রতিপক্ষের উপর মানসিক চাপ তৈরি করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের দলে আনার এক নিখুঁত নিদর্শন।

        সৌরভের আরও বক্তব্য:

  • "টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখে এমন ইনিংসই।"

  • "মারক্রাম এই ম্যাচে শুধু রান করেনি, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।"

  • "দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।"

        WTC ফাইনাল প্রেক্ষাপট:

  • মারক্রামের ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪৮ রান তোলে

  • ফাইনালে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া

  • ম্যাচটি বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থানে


HS-এর পর NEET-এও সেরা! বাংলা মাধ্যমের গর্ব রূপায়ণ

NEET 2025: উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম, ডাক্তারি পরীক্ষাতেও বাজিমাত! বাংলা মাধ্যমের রূপায়ণের অনন্য দৃষ্টান্ত

বর্ধমান: বাংলা মাধ্যমের ছাত্র হয়েও NEET 2025 পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করলেন বর্ধমানের রূপায়ণ ঘোষ। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যসেরা হওয়ার পর এবার দেশব্যাপী ডাক্তারি প্রবেশিকাতেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন এই মেধাবী ছাত্র।



তিনি শুধুমাত্র নিজেকে নয়, বরং বাংলা মাধ্যমে পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাসকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।

রূপায়ণ বলেন, “আমরা বাংলা মাধ্যমে পড়লেও স্বপ্ন বড় দেখতেই পারি। নিজের ভাষা বুঝলে পড়াটাও অনেক ভালোভাবে হয়। আমি চেয়েছি, সবাই বুঝুক—বাংলায় পড়েও ডাক্তার হওয়া সম্ভব।”

        সফলতার পথচলা

  • বিদ্যালয়: বর্ধমান মডেল স্কুল

  • উচ্চমাধ্যমিক ফল: রাজ্যসেরা (২০২৫)

  • NEET র‍্যাঙ্ক: অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ১২৩

  • স্বপ্ন: নিউরো সার্জন হওয়া

রূপায়ণের মতে, কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মিত রিভিশনের সঙ্গে নিজের উপর বিশ্বাস ছিল তাঁর মূল শক্তি। কোচিং ও গাইডবইয়ের পাশাপাশি স্কুলের পাঠ্যবইকেও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বার্তা

তিনি পরামর্শ দেন:
“ভাষা কোনও বাধা নয়। নিজের বই, নিজের টিচার, আর নিজের ধৈর্যই হল সবচেয়ে বড় অস্ত্র।”

Stasnet Opinion

রূপায়ণ শুধুই একজন সফল পরীক্ষার্থী নন, বরং বাংলা মাধ্যম শিক্ষার সম্ভাবনার জ্বলন্ত প্রমাণ। তাঁর এই সাফল্য হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে সাহস দেবে, অনুপ্রেরণা জোগাবে—এটাই আজকের শিক্ষা।

📲 আরও এমন অনুপ্রেরণামূলক সংবাদ পড়তে চোখ রাখুন Stasnet News - খবর, সঠিক ভাষায়।


২৪ ঘণ্টার মাথায় ইরানের পাল্টা আঘাত, তেল আভিভ কাঁপল ভয়াবহ বিস্ফোরণে

তেহরানের পাল্টা প্রত্যাঘাত: লৌহঢাল ভেদ করে তেল আভিভে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইজ়রায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চরম প্রত্যাঘাত হেনেছে ইরান। শুক্রবার গভীর রাতে ইরানের একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিভের প্রাণকেন্দ্রে আছড়ে পড়ে। লক্ষ্য ছিল ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF)-এর সদর দফতর ‘দ্য কিরইয়া’।

কীভাবে ঘটল হামলা?

তেহরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বা ‘লৌহঢাল’-এর প্রতিরোধ ভেঙে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তেল আভিভের সেনা সদর দফতরে সরাসরি আঘাত হানছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। মুহূর্তে বিস্ফোরণ এবং আলোর ঝলকে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল।

কোন কোন এলাকায় হামলা?

  • দ্য কিরইয়া: সেনা সদর দফতর, প্রধান লক্ষ্য।

  • রমাত গান: বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি।

  • রিশন লেজ়িয়ন: বহুতলের একাংশ ধসে পড়ে।

 হতাহতের হিসাব:

  • ইজ়রায়েল: ৩ জন নিহত।

  • ইরান: পাল্টা ইজ়রায়েলি হামলায় ৭৮ জনের মৃত্যু, আহত ৩০০+।

প্রতিক্রিয়া:

IDF মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেন,

“আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। তবে কিছু ধ্বংসাবশেষই মারাত্মক ক্ষতি করেছে।”

IDF আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি টুইটে লেখেন,

“এই উত্তেজনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইরান। তাদের উদ্দেশ্য ইজ়রায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।”


সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক মৃত্যু: শেষকৃত্য দিল্লিতে, করিশ্মা থাকবেন কি?



লন্ডন / দিল্লি | ১৪ জুন ২০২৫ | The Stasnet প্রতিবেদক

নামী ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন পোলো খেলোয়াড় সঞ্জয় কাপুর, যিনি বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী, বৃহস্পতিবার লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর

সূত্র অনুযায়ী, একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন মৌমাছি গিলে ফেলায় শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার পরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

শেষকৃত্য হবে দিল্লিতে, মরদেহ আনতে দেরি

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য হবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু লন্ডনে ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মরদেহ ভারতে আনতে কিছুটা সময় লাগবে, জানিয়েছেন সঞ্জয়ের শ্বশুর অশোক সচদেব

পরিবারে সম্পর্ক: করিশ্মা ও সন্তানদের জীবন

২০০৩ সালে করিশ্মা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান — সামিরা (২০০৫) এবং কিয়ান (২০১১)। বিচ্ছেদ ঘটে ২০১৬ সালে। এর পর থেকে করিশ্মাই একা হাতে সন্তানদের বড় করছেন।

সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই করিশ্মার পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা। বোন করিনা কাপুর এবং দুলাভাই সইফ আলি খান রাতেই করিশ্মার বাড়িতে পৌঁছন। পরে আসেন বন্ধুরা — অমৃতা আরোরামালাইকা আরোরা

শেষকৃত্যে করিশ্মা ও সন্তানরা থাকবেন কি?

সঞ্জয়ের শেষ বিদায় জানাতে করিশ্মা কাপুর ও তাঁর সন্তানরা দিল্লিতে শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি অভিনেত্রীর পরিবার বা টিম।

একজন পিতা, প্রাক্তন সঙ্গী ও স্পোর্টসম্যানের হঠাৎ বিদায়

এই মৃত্যু শুধুমাত্র বলিউডে নয়, কাপুর পরিবার ও তাঁদের সন্তানদের জীবনেও এক গভীর শোকের ছায়া ফেলল


আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: ২৪১ জনের মৃত্যু, জীবিত ফিরলেন কেবল ১১এ সিটের যাত্রী

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: "আমি লাফ দিইনি, আমি বেরিয়ে এসেছি"— জানালেন ১১এ সিটের যাত্রী


আহমেদাবাদ | ১৩ জুন, ২০২৫ | দ্য স্টাসনেট সংবাদ ডেস্ক
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর, যেখানে ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, একমাত্র জীবিত ব্যক্তি সামনে এসে নিজের বেঁচে যাওয়ার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

দুর্ভাগ্যজনক এই ফ্লাইটটি—a ১২ বছর পুরনো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার— আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩৯ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়।

উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ‘MAYDAY’ সংকেত পাঠায় এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল বিল্ডিংয়ে ধাক্কা মারে ও আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও নিহত হন।

১১এ সিটের যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশ যা বললেন

বিষ্ণু কুমার রমেশ (৪৫), পুনের বাসিন্দা, যিনি বিমানের ১১এ সিটে জানালার পাশে বসে ছিলেন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর বাঁ হাতে আঘাত ও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।

তিনি বলেন,

 “আমি যে দিকে বসেছিলাম, সেই পাশটা বিল্ডিংয়ের সাথে ধাক্কা খায়নি। দরজাটা ভেঙে যাওয়ার পর একটা ফাঁকা জায়গা দেখতে পাই। তখনই আমি সেই দিক দিয়ে বেরিয়ে যাই। আমি দৌঁড়ে পালিয়ে যাই। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমি বেঁচে আছি।”



বিমানটি হোস্টেল বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আছড়ে পড়ায় সম্ভবত সেই একমাত্র খোলা জায়গা দিয়ে তিনি বের হতে পেরেছিলেন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ ও এয়ার ইন্ডিয়া।
আরও আপডেটের জন্য চোখ রাখুন The Stasnet-এ।


© all rights reserved
STASNET