ডিমেনশিয়া ও বাগান: নতুন চিকিৎসার পথ কেয়ার ফার্ম

 এই অসাধারণ তথ্যনির্ভর গল্পটি বোঝায় কীভাবে বাগান করা ও প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্টতা রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিচে এই লেখার সারাংশ ও বিশ্লেষণ করা হলো যাতে পাঠক সহজে মূল পয়েন্টগুলো ধরতে পারেন:

বাগান করা এবং স্মৃতিভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে লড়াই



প্রেক্ষাপট: মারিয়ান রগস্টাডের গল্প

  • মারিয়ান রগস্টাড সুইজারল্যান্ডে হোটেল ক্লার্ক হিসেবে ৫০ বছর কাজ করার পর নরওয়েতে ফিরে এসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন।

  • তিনি একা পড়ে যান এবং মানসিক উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেন।

সমাধান: ইমপালস সেন্টার

  • অসলোর বাইরে “কেয়ার ফার্ম” নামে পরিচিত ইমপালস সেন্টারে যোগ দেওয়ার পর তার জীবনে পরিবর্তন আসে।

  • এখানে তিনি সবজি লাগান, পশুপাখির যত্ন নেন এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকেন।

গবেষণায় কী বলছে?

  1. ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে বাগানের ভূমিকা:

    • বাগান করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩৬% পর্যন্ত কমে, যেমন দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণায়।

    • বাগান করা "ব্রেইন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF)" এবং "ভিইজিএফ" নামক প্রোটিন বাড়ায় – যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা ও নিউরন টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরি।

  2. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন:

    • মনোযোগ বৃদ্ধি, চাপ হ্রাস, সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি – সবই বাগানের মাধ্যমে সম্ভব।

    • “Attention Restoration Theory” বলছে, প্রকৃতি আমাদের মনোযোগ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

  3. শারীরিক সুবিধা:

    • হৃদরোগ ও হাড়ের দুর্বলতা কমে, পেশির শক্তি বাড়ে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমে।

'সবুজ প্রেসক্রিপশন' – চিকিৎসার নতুন ধারা

  • এখন চিকিৎসকরা ‘Green Prescription’ দিচ্ছেন, যা মানসিক চাপ কমাতে, সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

  • কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রকৃতি-ভিত্তিক থেরাপি চালু হয়েছে।

কেয়ার ফার্মের সাফল্য

  • কেয়ার ফার্মগুলো শুধু চিকিৎসা নয়, বরং জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়।

  • রোগীরা নিজের কাজের ফল চোখে দেখেন – এটি আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়।

শেষ কথা

"ব্যবহার করো, না হয় হারিয়ে ফেলো" – এই কথাটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য। বাগান করা মানে শুধু একটা কাজ নয়, এটি একধরনের থেরাপি – যা বার্ধক্যে আমাদের মানসিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপনি যদি কাউকে ভালো রাখতে চান, তাকে কিছু গাছ লাগাতে দিন।

স্মৃতিভ্রষ্টতা হোক বা মানসিক ক্লান্তি – প্রকৃতি ও বাগান এই দুইই হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও প্রভাবশালী ওষুধ।

পুনেতে ভেঙে পড়ল সেতু, ইন্দ্রায়ণী নদীতে প্রাণহানির আশঙ্কা, আহত বহু

মহারাষ্ট্রের পুনে জেলায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ মাভাল তহসিলের কুন্দমালা এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক মানুষ হঠাৎই নদীতে পড়ে যান সেতু ভেঙে পড়ার কারণে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ জনে, আহত হয়েছেন ৩২ জন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারকাজে ব্যস্ত এনডিআরএফ।



কীভাবে ঘটল বিপর্যয়?

ঘটনাস্থল ছিল পুনের তালেগাঁওয়ের ইন্দোরি এলাকায়, যেখানে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি ৩০ বছর পুরনো লোহার সেতু রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে প্রচুর পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ সেতুর উপর ভিড় করেছিলেন। তখনই আচমকা সেতু ভেঙে পড়ে এবং অনেকে সরাসরি নদীর জলে পড়ে যান।

আহত ও মৃতদের কী খবর?

  • মৃত: ৪ জন

  • আহত: ৩২ জন

  • আশঙ্কাজনক: ৬ জন, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি

  • নিখোঁজ: সঠিক সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়, তল্লাশি চলছে

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে দুটি এনডিআরএফ টিম, স্থানীয় পুলিশ, এবং প্রশাসন উদ্ধার কাজে যুক্ত।

মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে 'X' (সাবেক টুইটার)-এ শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন:

“পুনে জেলার তালেগাঁওয়ের কাছে ইন্দোরিতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছি। সমস্ত উদ্ধারকারী বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই দুর্ঘটনাকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” বলে বর্ণনা করে জানান,

“সেতুতে থাকা অনেকে ভেসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি সকলেই যেন সুস্থ ও নিরাপদে থাকেন।”

কেন ভেঙে পড়ল সেতু?

সেতুটি ছিল পুরনো ও দুর্বল, এবং এর নিচেই ছিল একটি পুরনো বাঁধ। বর্ষার মরসুমে নদীর জলের স্তর বেড়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশাল গায়কোয়াড় জানিয়েছেন,

“ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৩:৩০ থেকে ৪:৩০-এর মধ্যে। পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে বহু মানুষ জলে পড়ে যান। উদ্ধারকাজ চলছে।”

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • স্থান: কুন্দমালা, তালেগাঁও, পুনে, মহারাষ্ট্র

  • নদী: ইন্দ্রায়ণী

  • সেতুর ধরন: ৩০ বছরের পুরনো লোহার সেতু

  • আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা: লেক ও জলপ্রপাতের পাশে

৪৩ হাজার বছরের প্রাচীন পাথরে মানুষের মুখ! মধ্যিখানে কার ছাপ? হতবাক বিজ্ঞানীরা

নিশ্চয়ই! নিচে “মানুষের মুখের আদলে পাথর, মধ্যিখানে কার আঙুলের ছাপ! ৪৩ হাজার বছরের পুরনো শিলা ঘেঁটে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা” শিরোনামের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করে দিলাম — পাঠককে চমকে দেবে এমন একটি স্টাইল ও স্ট্রাকচারে।

ইন্দোনেশিয়ার গুহা থেকে মিলল রহস্যময় শিলাচিত্র



৪৩ হাজার বছরের পুরনো এক শিলাচিত্র নিয়ে সারা বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে এক গুহায় খুঁজে পাওয়া গেছে একটি পাথরের খোদাই, যেটি অবিকল মানুষের মুখের আদলে তৈরি এবং যার মাঝ বরাবর স্পষ্ট একটি আঙুলের ছাপ।

বিজ্ঞানীদের চমক:
গবেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে পুরনো মানব-প্রতিকৃতি শিল্পের মধ্যে অন্যতম। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, খোদ সেই মুখের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে একটি মানুষের আঙুলের ছাপের মতো চিহ্ন — যা ওই শিল্পীর পরিচয় বা উদ্দেশ্যের সংকেত হতে পারে।

কার্বন ডেটিং-এ মিলল তথ্য:
জার্নাল Nature Human Behaviour-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তিতে এই শিলাচিত্রের বয়স নির্ধারণ করে দেখা গেছে এটি প্রায় ৪৩,৯০০ বছর পুরনো। ছবিটি খোদাই করা হয়েছিল গুহার দেয়ালের এক ধরনের লালচে রঙের পাথরের উপর।

শিল্প নাকি আধ্যাত্মিক চিহ্ন?
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলছেন এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় চিহ্ন — হয়তো কোনো দেবতা বা অজ্ঞাত শক্তির মুখাবয়ব। আবার কারও মতে, এটি মানব সমাজের প্রাথমিক শিল্পের নিদর্শন, যেখানে ব্যক্তি তার অস্তিত্বের প্রমাণ রাখতে আঙুলের ছাপ দিয়েছিল।

চিত্রে কী দেখা যাচ্ছে?
শিলাচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে একটি মুখাকৃতি, চোখ, নাক, ঠোঁট — সবকিছুই স্পষ্ট। মুখের মাঝখানে রয়েছে একটি চাপের মতো দাগ, যা মানুষের আঙুলের ছাপের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। এটা যদি সত্যি মানুষের ছাপ হয়, তবে সেটি ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বায়োমেট্রিক ইম্প্রেশন হিসেবে ধরা যেতে পারে।

মানব সভ্যতার নতুন দিগন্ত?
ইন্দোনেশিয়া বরাবরই প্রাচীন শিলাচিত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তবে এতটা স্পষ্ট ও মানবিক ব্যাখ্যার শিলাচিত্র খুব কমই আবিষ্কৃত হয়েছে। এই খুঁজ প্রমাণ করছে, ৪০ হাজার বছর আগেও মানুষের বা হিউম্যানয়েড প্রজাতিরা শিল্পচর্চা এবং স্ব-প্রতিফলনের ক্ষমতা রাখত।

বিশেষজ্ঞের বক্তব্য:
প্রফেসর ম্যাক্স উইলসন, যিনি গবেষণার অন্যতম মুখ, জানিয়েছেন —

“এটা শুধু প্রাচীন চিত্র নয়, এটা এক প্রাচীন মানবিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। কেউ হয়তো নিজেকে বা ঈশ্বরকে প্রকাশ করতে চেয়েছিল।”

সতর্কবার্তা:
যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, তবে এখনও গবেষণা চলছে। কিছু বিশেষজ্ঞ এই ছবিকে প্রাকৃতিক ক্ষয়প্রাপ্তির ফলাফল বলেও ব্যাখ্যা করছেন।

উপসংহার:
যদি এটি সত্যি কোনও মানবশিল্প হয়, তবে তা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনার সামিল। ৪৩ হাজার বছর আগেও মানুষ শিল্প, পরিচয় এবং আত্মপ্রকাশের কথা ভাবত — এমন ধারণা নিঃসন্দেহে আমাদের সভ্যতাকে নতুন করে বুঝতে সাহায্য করবে।


SIP Investment: মাসে ১০ হাজার জমিয়ে আজ ৯.৮ কোটি! ইতিহাস গড়ল ICICI-এর মাল্টিক্যাপ ফান্ড

 বিস্তারিত খবর: মাসে মাত্র ₹10,000 SIP করেই 25 বছরে তৈরি হলো প্রায় ₹10 কোটির সম্পদ — Nippon India Growth Fund-এর ‘ম্যাজিক’

কলকাতা, 16 জুন 2025: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের শক্তিকেই প্রমাণ করল Nippon India Growth Fund। 1996 সালের অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে মাত্র ₹10,000 করে Systematic Investment Plan (SIP) চালিয়ে যাঁরা 25 বছর ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অবরুদ্ধ মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ₹10 কোটি



কেন Nippon India Growth Fund?

  • লঞ্চ: অক্টোবর ১৯৯৬

  • ধরণ: মি়ড-ক্যাপ ও ইকুইটি-ব্লেনডেড ফান্ড

  • কোম্পানি বেছে নেওয়া: কোয়ালিটি ব্যবসার উপর মনোযোগ, নিদিষ্ট মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় পজিশনিং 

SIP ক্যালকুলেশন:

  • মাসিক বিনিয়োগ: ₹10,000

  • মোট বিনিয়োগ: ₹10,000 × 12 × 25 ≈ ₹30 লক্ষ

  • আন্তরিক মূল্যায়ন (XIRR): 22.84%

  • সমাপ্তি মূল্য: ≈ ₹10 কোটি

এই 22.84%% এর বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধির ফলে মাত্র ₹30 লক্ষের বিনিয়োগ 25 বছরে ছাপিয়ে গেল ‌₹10 কোটিকে।

কী শেখায় এই ম্যাজিক?

  1. সময় + ডিসিপ্লিন: শুরু থেকে নিয়মিত SIP চালাতে পারলেই কম মূলধনেও বিরাট সম্পদ গড়া সম্ভব।

  2. দীর্ঘমেয়াদি ফোকাস: স্বল্পমেয়াদি উত্থান-পতন এড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে এফেক্ট নিয়ে আসে।

  3. মাঝে মাঝে রিব্যালান্স: ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত দেখতে ফান্ড হাউস নিয়মিত পোর্টফোলিও রিভিউ করে।

  4. মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি রিটার্ন: মি়ড-ক্যাপ সেগমেন্টের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে মাঝারি রিস্কে অধিক রিটার্নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি

ডঃ অমৃতা সেন (ইকুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট):
“Nippon India Growth Fund-এর সাফল্য দেখাচ্ছে—সঠিক স্টক পিকিং, ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট এবং দীর্ঘ মেয়াদি মনোভাব মিলে SIP-এর মাধ্যমে অসাধারণ পারফর্মেন্স আসতে পারে।”

বিনিয়োগের আগে মনে রাখবেন

  • মুনাফা অতীতের ছবি: অতীত ফলাফল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নয়।

  • মার্কেট ভোলাটিলিটি: মাঝেমধ্যে বিনিয়োগের মূল্য পড়ে যেতে পারে।

  • লিকুইডিটি: SIP রিডিম্পশন শর্ত ও চার্জ দেখতে ভুলবেন না।

  • ডাইভার্সিফিকেশন: একাধিক ফান্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমায়।

উপসংহার:
যদি আপনার লক্ষ্য হয় দীর্ঘমেয়াদে স্বল্প মাসিক বিনিয়োগে বড় সম্পদ গড়ে তোলা, তবে Nippon India Growth Fund-এর মতো প্রতিষ্ঠিত ফান্ডের SIP স্ট্র্যাটেজি গবেষণা করে দেখুন। সময়, ধৈর্য আর শৃঙ্খਲਾ মিললেই ২৫ বছরে ‘কোটিপতি SIP’ হওয়ার পথ উন্মুক্ত!

১৯৭১-এর ছায়া কি ফের ফিরে আসছে? সীমান্তে যুদ্ধের আশঙ্কা!

 অবশ্যই! আপনি যেহেতু “৫৪ বছর আগের ভারত-পাক যুদ্ধের দিনগুলোই ফিরছে?” – এই ভাবনার উপর ভিত্তি করে খবর বা তথ্য চাইছেন, তাই এখানে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরলাম:

ইতিহাস: ৫৪ বছর আগের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (১৯৭১)



যুদ্ধের কারণ:

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মূলত পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়।

  • পাকিস্তানের দুই অংশ ছিল – পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) ও পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)।

  • ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

  • কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।

  • ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী “অপারেশন সার্চলাইট” নামে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা শুরু করে।

  • লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতের পূর্বাঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করে।

ভারতের ভূমিকা:

ভারত শুরুতে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করলেও শরণার্থী সমস্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে।

  • ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১: পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে (প্রথমে লাহোর, পাঠানকোট ইত্যাদি এলাকায়)।

  • এরই সঙ্গে ভারত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে প্রবেশ করে।

  • ভারতীয় সেনাবাহিনী, মুক্‌তি বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত এগোতে থাকে।

যুদ্ধের ফলাফল:

  • ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ।

  • ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে — এটি ছিল ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ আত্মসমর্পণ।

  • বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট: ইতিহাস কি ফিরছে?

মিল:

  • সীমান্তে সাইরেন, আলো নিভিয়ে রাখা, যুদ্ধের প্রস্তুতির মতো সতর্কতা।

  • সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি — বিশেষ করে কাশ্মীর বা আন্তর্জাতিক সীমান্তে।

  • যুদ্ধবিমান, ড্রোন, এবং সামরিক মহড়া বৃদ্ধি।

  • মিডিয়াতে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা।

অমিল:

  • এখন ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ।

  • কূটনৈতিক চাপ, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা, ও গণমাধ্যমের প্রচার যুদ্ধ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

  • যুদ্ধ এখন শুধুই মাটির দখল নয়, সাইবার, তথ্য, ও প্রোপাগান্ডার লড়াইতেও রূপ নিচ্ছে।

 উপসংহার:

১৯৭১ সালের মতো খোলা যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনকার তুলনায় অনেক জটিল। তবে যখন সাইরেন বাজে, আলো নিভে যায়, মানুষ আতঙ্কে থাকে — তখন ইতিহাসের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। একথা অস্বীকার করা যায় না যে যুদ্ধের দিনগুলোর স্মৃতি আজও বেঁচে আছে সাধারণ মানুষের মনে।


ট্রায়াল রুমে লাইন? মাথা ঠান্ডা রাখুন, জিন্‌স মাপার হ্যাক শিখে নিন!

দোকানে জিন্‌স কিনতে গেলেন, কিন্তু ট্রায়ালরুমে লম্বা লাইন? অথচ আপনাকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে? এখন না পরে মাপ দেখে জিন্‌স কেনার এক দারুণ টিপস রইল আপনার জন্য।



টিপস ১: গলার চারপাশে জিন্‌স র‍্যাপ করে দেখুন
জিন্‌সের কোমরের অংশ (waistline) আপনার গলার চারপাশে পেঁচিয়ে ধরুন। যদি দু’পাশ একদম ঠিকঠাক মিলিয়ে যায়—না বেশি টাইট, না ঢিলেঢালা—তাহলে বুঝবেন এটা আপনার সাইজ।
কারণ? গলার পরিধি সাধারণত কোমরের অর্ধেক হয়।

টিপস ২: কবজির কনুই পর্যন্ত কোমর মাপুন
জিন্‌সের কোমরের অংশ এক হাতে ধরে, অন্য হাতে কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত সোজা করে মাপুন। যদি সেই দৈর্ঘ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে সাইজ প্রায় মিলবে।

টিপস ৩: হাঁটু থেকে গোড়ালি — ইনসাইড লেন্থ টেস্ট
জিন্‌সটি পায়ের কাছে ধরে হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মিলিয়ে নিন। যদি দৈর্ঘ্য শরীরের অনুপাতে ঠিকঠাক দেখায়, তাহলে জিন্‌সটি ছোট বা বড় হবে না।

টিপস ৪: পকেট টেস্ট
জিন্‌সের পকেটে হাত দিন—যদি হাতটা স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে আর পকেটের গভীরতা বেশি না হয়, তবে বুঝবেন ফিটিং ঠিকঠাক।

এই টিপসগুলো পুরুষ ও মহিলাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই কাজ করে। বিশেষত শপিং মলে, ডিসকাউন্ট সেলে বা স্ট্রিট মার্কেটে দ্রুত সাইজ যাচাই করতে গেলে এই হ্যাক একদম পারফেক্ট।

মনে রাখবেন, ব্র্যান্ড অনুযায়ী মাপ কিছুটা আলাদা হতে পারে। তাই একবার কিনে নেওয়ার পর হেল্পলাইন বা এক্সচেঞ্জ পলিসিও দেখে রাখুন।

এবার না পরেই জিন্‌স কেনা সহজ, ঝঞ্ঝাটমুক্ত! আপনি চেষ্টা করে দেখুন — ওয়ার্ক করলেই আমাদের জানাতে ভুলবেন না!


© all rights reserved
STASNET