বুকে জড়িয়ে শেষবার… সেনা পাইলটের মরদেহে স্ত্রী’র নিঃশব্দ কান্না

ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দীপিকা চৌহান—নিজেই এক শক্তিশালী সেনা অফিসার, কিন্তু কেদারনাথে দাঁড়িয়ে স্বামীকে শেষবারের মতো বিদায় জানানোর সময় তিনি যেন আর এক জনমের মতো ভেঙে পড়লেন।



বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে স্বামী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর সিং চৌহানের ছবি। চোখে অশ্রু, চেহারায় ব্যথা—ভেঙে পড়েছেন তিনি পুরোপুরি। স্বামীর শেষযাত্রার জন্য পা ফেলছেন ধীরে ধীরে। যেন শরীর চলতে চাইছে না, মন চাইছে ফিরিয়ে আনতে প্রিয়জনকে।

সেনা পোশাক, পিক ক্যাপ—সব কিছুই যেন তাঁর আবেগকে আটকাতে পারল না। কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে স্বামীর ছবিতে হাত বুলিয়ে দিলেন তিনি। অশ্রুসজল চোখে কপালের কাছে তুলে ধরলেন ছবি। হয়তো মনে মনে বলছিলেন—"আরেকবার ফিরে এসো…"

মাত্র কিছু মাস আগে শুরু হওয়া নতুন দাম্পত্যজীবন এমন মর্মান্তিকভাবে ভেঙে যাবে, কে জানত! এক সেনার জীবন যেমন সাহসিকতায় ভরপুর, তেমনই কষ্ট আর বিচ্ছেদেও ডুবে থাকে।

আপনি চাইলে এই লেখাটির সঙ্গে সংবাদ প্রতিবেদন বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ফর্ম্যাটেও সাজিয়ে দিতে পারি, যেমন একটি ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন, ইউটিউব স্ক্রিপ্ট বা ব্লগপোস্ট হিসেবে। জানিয়ে দিন কোন ফর্ম্যাটে চাইছেন।

১০০ ও ২০০ টাকার নোটে বড় ঘোষণা, সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর: RBI

 নিশ্চিতভাবেই! RBI সম্প্রতি একটি বড় ঘোষণা করেছে যা 100 ও 200 টাকার নোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে:



  • মূল নির্দেশনা: এপ্রিল 2025‑এ RBI একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে— ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫–এর মধ্যে দেশের ৭৫ % ATM‑এ একটি ক্যাসেট থেকে 100 বা 200 টাকার নোট দিতে হবে

  • দ্বিতীয় পর্যায়: ৩১ মার্চ ২০২৬–এর মধ্যে এই সংখ্যার লক্ষ্য ৯০ %‑এ উন্নীত হবে  ।

বর্তমান অবস্থা

  • জুন ১৬–১৭, ২০২৫ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৭৩ % ATMs ইতোমধ্যে এই নিয়ম মেনে চলছে  । CMS Infosystems–এর নেটওয়ার্কে ৬৫ %-এ থেকে বেড়ে এসেছে ৭৩ %–এ।

উদ্দেশ্য

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো:

  • দৈনন্দিন ছোট লেনদেনে ব্যবহৃত চার্জহীন ছোট নোটের সহজ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে গ্রামীণ ও অর্ধ-শহুরে এলাকায়  ।

সারাংশ – কী করণীয়?

বিষয় বিশদ
মুল নির্দেশ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ৭৫ % ATM‑এ 100/200 টাকার নোট প্রদান বাধ্যতামূলক
বর্তমান অবস্থা ৭৩ % ATM ইতিমধ্যে নিয়ম মেনে চলছে (জুন ২০২৫ পর্যন্ত)
পরবর্তী লক্ষ্য মার্চ ২০২৬‑এর মধ্যে ৯০ % ATM‑এ এ ব্যবস্থা থাকা
লক্ষ্য জনগোষ্ঠী  নগদ নির্ভর দৈনন্দিন ব্যবহারকারীরা

আপনার কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

  • শিক্ষিত হোন – আপনার স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও ATM অপারেটরের ওয়েবসাইট/নোটিশ চেক করুন সিদ্ধান্তে আপডেটের জন্য।

  • ATM‑এর ধরন লক্ষ্য করুন – 100/200 টাকার নোট পেতে গেলে ATM–এর ক্যাসেট সংখ্যা চেক করুন। কিছু ATM এখনও শুধুমাত্র বড় নোট (500/2000) দিতে পারে।

  • ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন – যদি একটি নির্দিষ্ট ATM‑এ ছোট নোট না মেলে, তাহলে ব্যাঙ্ককে জানান যাতে তাদের ব্যবস্থা দ্রুত আপডেট করা যায়।

এই নির্দেশনার কারণে আপনার দৈনন্দিন লেনদেনে অনেক সুবিধা আসবে— বিশেষ করে সমস্যা হচ্ছে এমন ছোট নোটের প্রাপ্যতায়। আপনি কি আপনার এলাকায় কোনো ATM‑এ এটি ইতিমধ্যেই প্রযোজ্য হয়েছে দেখে এসেছে?

মধ্যপ্রাচ্যে রণভূমির আবহ, তেহরানের আকাশসীমা দখলের দাবি নেতানিয়াহুর

নয়াদিল্লি: চতুর্থ দিনে পড়ল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ধোঁয়া, মাটিতে মৃতদেহ। গতরাত থেকে ইজরায়েলি ফাইটার জেট বারবার ঢুকে পড়েছে তেহরানের আকাশে। ইরানের অভিযোগ, শুধু তৈল শোধনাগার বা পরমাণু কেন্দ্রই নয়, জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা।

পাল্টা জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে ইজরায়েলের হাইফা সংশোধনাগারে। ফোর্ডোর পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরণের জেরে রিখটার স্কেলে ২.৫ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২৪ জন।

এই পরিস্থিতিতেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, “তেহরানের আকাশসীমার কন্ট্রোল এখন আমাদের হাতে।” তবে এই উত্তেজনার মাঝে বাতিল হয়েছে ওমানে নির্ধারিত আমেরিকা-ইরান পরমাণু বৈঠক।



ট্রাম্প বনাম নেতানিয়াহু:
ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে হামলায় যুক্ত নয় আমেরিকা, অথচ নেতানিয়াহু বলছেন, “আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে।” এই দ্বিচারিতাকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে তেহরান।

ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “আমাদের কাছে প্রমাণ আছে — আমেরিকার হাত রয়েছে এই আক্রমণে।”

ভারতের আশঙ্কা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতের মাথাব্যথা বাড়বে। ইতিমধ্যেই বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম, চাপ পড়ছে আমদানির খরচে।

সিনেমার পর্দা থেকে বাস্তব জীবনে — ‘আপিস’ দেখেই আত্মবিশ্বাসী পরিচারিকারা

 বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে এসে বললেন, “নিজের উপার্জনেই আসে মর্যাদা, আসে সাহস”

সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ পরিচালিত নতুন ছবি ‘আপিস’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। ছবিতে সন্দীপ্তা সেন এক কর্মজীবী নারীর চরিত্রে, যিনি বাইরে চাকরি সামলালেও বাড়ির কাজে নির্ভর করেন এক দক্ষ পরিচারিকার উপর। সেই পরিচারিকার ভূমিকায় রয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, যাঁর সাবলীল অভিনয় আবারও মন জয় করেছে দর্শকদের।

সম্প্রতি কলকাতার এক মাল্টিপ্লেক্সে আয়োজিত হয় ছবিটির বিশেষ স্ক্রিনিং, যেখানে উপস্থিত ছিলেন একদল বাস্তবের পরিচারিকা। তাঁরা ছবি দেখলেন, হাসলেন, কাঁদলেন, এবং ছবি শেষ হওয়ার পর তাঁদের অভিমত জানালেন অকপটে।

একজন পরিচারিকা জানালেন,

“কোনও কাজই ছোট নয়। যাঁরা বাড়িতে কাজ করেন, তাঁরাও তো ঘর সামলান, বাচ্চা বড় করেন, আয় করেন। সেই কাজও সম্মানের।”

আরও একজন বললেন,

“ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাবা-মায়ের চিকিৎসা — সব সামলাতে নিজের উপার্জন জরুরি। এই ছবি দেখে আরও শক্তি পেলাম।”

পরিচারিকাদের অনেকেই সেদিন সঙ্গে এনেছিলেন সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের। সিনেমা শেষে তাঁরা দেখা করেন পরিচালকদের সঙ্গে, ছবি তোলেন সন্দীপ্তা ও সুদীপ্তার সঙ্গে, আর জানান তাঁদের ভালো লাগা। কেউ কেউ বললেন, “এমন গল্প আমাদের কথাই বলে। এবার আমরা আরও গর্ব করে বলব— আমরা কাজ করি, আমরা উপার্জন করি।”

সত্যিকারের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠল ‘আপিস’, বিশেষত সেই সব নারীদের জন্য, যাঁরা নীরবে সমাজের ভিত গড়ে চলেন প্রতিদিন।


রাগেশ্বরীর ভিডিয়ো পোস্ট ভাইরাল, ডিভোর্স না নিয়ে নতুন করে শুরু দুই দম্পতির

গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ২৪২ জন আরোহী নিয়ে ভেঙে পড়ে। প্রাণহানির এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বলিউডের প্রথম সারির তারকারা যেমন শাহরুখ খান ও অমিতাভ বচ্চন শোক প্রকাশ করেছেন, তেমনই এই ঘটনায় ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রতিক্রিয়া দিলেন গায়িকা ও অভিনেত্রী রাগেশ্বরী লুম্বা



ভিডিয়ো বার্তায় নতুন বার্তা

সোমবার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন ভিডিয়ো শেয়ার করেন রাগেশ্বরী। তাতে তিনি বলেন,

“আপনি কি জানেন, এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর কত মানুষ তাঁদের পরিবারকে ফোন করতে শুরু করেছেন? আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন দুটি দম্পতিকে চিনি যারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। পরিবারগুলো হঠাৎ করে অহংকার ছেড়ে নরম হয়েছেন, যুক্তিগুলো সমাধান করতে চেষ্টা করেছেন। কী বদলে গেল?”

বিপর্যয়ের প্রয়োজন পড়ে ভাবতে?

রাগেশ্বরীর মতে, “মানব মন এমনই যে, আমাদের আশীর্বাদ বা ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝতে প্রায়শই একটা বড় ধাক্কার দরকার পড়ে। একটা বৈপরীত্য বা বিপর্যয় ছাড়া যেন আমরা জেগে উঠি না।” তিনি বলেন, “জীবন আসলে খুব ভঙ্গুর, আর সম্পর্কগুলো অমূল্য। একে অপরকে কীভাবে অনুভব করিয়েছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।”

পরামর্শ ও বার্তা

রাগেশ্বরী আরও বলেন,

“উচ্চতা উপলব্ধি করতে হলে আমাদের গভীরতা অনুভব করতে হবে। সাফল্যের মানে বুঝতে হলে ব্যর্থতার দরকার হয়। সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে অহং ছাড়তে হয়। তাই যাঁরা আমাদের জীবনে আছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, ভালোবাসা দেখান। কারণ, মানুষ কী বলেছে বা কী পরেছে— তা ভুলে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে আপনি তাদের অনুভব করিয়েছেন, তা চিরকাল মনে রাখবে।”

নস্টালজিক মন্তব্য ভক্তদের

রাগেশ্বরীর এই বার্তায় আবেগে ভেসেছে ভক্তমহল। একজন মন্তব্য করেছেন,
“এতদিন পরে আপনাকে দেখে কিশোর নস্টালজিয়া ফিরে এলো। কী চমৎকার ভাবনা!”
আরও এক জন লেখেন, “জীবনের মূল্য বোঝা উচিত এখনই। পরিবার আর সম্পর্কই সব।”

কে এই রাগেশ্বরী লুম্বা?

রাগেশ্বরী ১৯৯৩ সালে আঁখে ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি, জিদ, দিল কিতনা নাদান হ্যায় ছবিতে কাজ করেন। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে সাভি ছবিতে। গায়িকা হিসেবেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন — ওসাকা মুরাইয়া গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, সঙ্গে দুনিয়া, সাচ কা সাথে সহ একাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।

উপসংহার
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা শুধু প্রিয়জন কেড়ে নেয়নি, অনেককে নতুন করে ভাবতেও শিখিয়েছে। সম্পর্কের মানে, জীবনের মূল্য এবং ক্ষমার গুরুত্ব — সবই যেন এক ঝটকায় মনে করিয়ে দিল এই ভয়াবহ ঘটনা।

[আপনার পরিবারকে এখনই জড়িয়ে ধরুন — সময় থাকতে ভালোবাসা জানিয়ে দিন!]


ইজরায়েলে হামলার’ প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটল পাকিস্তান, ইরানের ক্ষোভ তুঙ্গে

ইসলামাবাদ: শুধু ভারতের বিরুদ্ধেই নয়, পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ এবার ধরা পড়ল মুসলিম বিশ্বের মধ্যেও। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে— এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান, এমনটাই দাবি করেছিল ইরান। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাক সরকার সেই প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করে ইউ-টার্ন নিল।



ঘটনার সূত্রপাত ইরানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য এবং রেভলিউশনারি গার্ডের শীর্ষ কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজাই-র এক বক্তব্য থেকে। তিনি প্রকাশ্যে জানান, “যদি ইজরায়েল ইরানের উপরে পরমাণু হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান আমাদের হয়ে পরমাণু হামলা চালাবে ইজরায়েলে। পাকিস্তান এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বহু বিশেষজ্ঞ মনে করতে শুরু করেন, ইরান-পাকিস্তান জোট হয়তো বড় কিছু পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে।

ইউ-টার্ন ইসলামাবাদের

কিন্তু, একই দিনেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সংসদে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “পাকিস্তান এমন কোনও পরমাণু সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়নি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও পক্ষের হয়ে পরমাণু যুদ্ধ চাই না।”

সমর্থন, কিন্তু সীমিত

যদিও পাকিস্তান ইরানকে একেবারে একঘরে করেনি। ১৪ জুন জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে খোয়াজা আসিফ বলেন,

“ইজরায়েল একযোগে ইরান, ইয়েমেন এবং প্যালেস্টাইনে আক্রমণ চালাচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব যদি আজ ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে আমাদের সবার ভবিষ্যত অন্ধকার।”

তবে এই বক্তব্য ছিল কেবল ‘নৈতিক সমর্থন’-এর পর্যায়ে। পরমাণু অস্ত্রের প্রশ্নে কোনও আগ্রাসী অবস্থান নিতে ইসলামাবাদ নারাজ বলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

কী ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘটনা?

  1. পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভারসাম্য রক্ষা করছে— একদিকে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, অন্যদিকে আমেরিকা বা ইজরায়েলের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের ঝুঁকি নিচ্ছে না।

  2. ইরান বিচলিত— কারণ তারা মুসলিম দেশ পাকিস্তানের ওপর ভরসা করেছিল, এখন সেই সমর্থন ঝুলে গেল।

  3. পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দায়িত্বশীল নীতি মেনে চলছে পাকিস্তান, তবে এর পিছনে পশ্চিমি দেশগুলোর চাপও গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার:

এই ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য আবারও প্রকাশ পেল। পরমাণু ইস্যুতে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে— তাই পাকিস্তানের সতর্ক ভঙ্গি কূটনৈতিকভাবে হয়তো যৌক্তিক, কিন্তু ইরানের মতো মিত্র দেশের কাছে তা ‘গদ্দারি’ হিসেবেই ধরা পড়ছে।


© all rights reserved
STASNET